চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সব দোষ মিডিয়ার!

ডেভিড ওয়ার্নারকে বাদ দিলে খেলবেন, নয়তো না! গত শুক্রবার সিডনি মর্নিং হেরাল্ড প্রতিবেদনে লিখেছিল, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে গত বছর এই শর্তপূরণ হওয়ার পরেই কেবল জোহানেসবার্গ টেস্টে খেলতে নেমেছিলেন মিচেল স্টার্ক, নাথায় লায়ন, প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজেলউডের মতো অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা!

দুইদিন পর রীতিমত বিবৃতি দিয়ে সব অস্বীকার করেছেন এই অজি ক্রিকেটাররা। তাদের বিবৃতিতে উঠে এসেছে ওয়ার্নারকে নিয়ে মোটেও উল্টো ভাবনা ছিল না তাদের। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ উত্তপ্ত করার জন্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দোষারোপও করেছেন তারা।

২০১৮ সালের মার্চে কেপটাউন টেস্টে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিং করে ক্রিকেট বিশ্বকে উত্তপ্ত করে তুলেছিলেন স্মিথ, ওয়ার্নার ও ক্যামেরন বেনক্রফট। উত্তাপের হাওয়া লেগেছিল অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুম থেকে ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত। আইসিসি ও সিএ বেনক্রফট-স্মিথকে বল বিকৃতির জন্য শাপ-শাপান্ত করলেও ওয়ার্নার চলে যাচ্ছিলেন আড়ালে। সিডনি নিউজ হেরাল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার একাধিক সিনিয়র ক্রিকেটার প্রতিবাদ করায় ব্যবস্থা নেয়া হয় অজি সাবেক সহ-অধিনায়কের বিরুদ্ধেও।

ওয়ার্নার খেললে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট খেলবেন না- এমনই নাকি হুমকি দিয়েছিলেন মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড, প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়ন। তারকা বোলারদের হুমকির মুখে ওয়ার্নারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আইসিসি ও সিএ। পরে থলে থেকে বেরিয়ে আসে যে বল টেম্পারিংয়ের মূল হোতাই ছিলেন ওয়ার্নার!

একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি লিখেছিল, ‘ওয়ার্নার ইস্যুতে ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার ড্রেসিংরুমের আবহাওয়া।’

কিন্তু বিবৃতিতে অজি ওই ক্রিকেটাররা বলছেন, মোটেও ওয়ার্নারকে বয়কট করার হুমকি দেননি তারা। সবকিছু ভুলে কেবল সামনে এগোতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সেই চাওয়াকে উল্টোভাবে তুলে ধরে ভুল শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে সিডনি হেরাল্ড!

‘প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ডেভিড ওয়ার্নারের বিচার না হলে আমরা নাকি জোহানেসবার্গ টেস্টে না খেলার হুমকি দিয়েছিলাম! এই অভিযোগটি সবদিক থেকেই হতাশাজনক। সবচেয়ে বড় কথা এই অভিযোগ সবদিক থেকেই মিথ্যা।’

‘এই অভিযোগের মাধ্যমে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক প্রশ্নবিদ্ধ করছে যা জ্বালাময়ী এবং বিভ্রান্তিকর।’

‘দল হিসেবে আমরা একসঙ্গে এগোতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার পুরুষ ক্রিকেট দলকে বিশ্বকাপ এবং অ্যাশেজের জন্য প্রস্তুত করার জন্য সাহায্য করতে চাই।’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে এমনই।

এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর সবরকম ক্রিকেটে ফিরতে আর কোনো বাধা নেই স্মিথ ও ওয়ার্নারের। নিষেধাজ্ঞা শেষে জাতীয় দলে ফিরে যেন কোনপ্রকার সমস্যার মাঝে না পড়েন দুজনে, সেজন্য দুবাইয়ে একটি পুর্নমিলনি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। লায়ন ও কামিন্স সেই অনুষ্ঠানে থাকলেও ছিলেন না হ্যাজেলউড ও স্টার্ক!

কেনো সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন না স্টার্ক ও হ্যাজেলউড? এমন প্রশ্নও তুলেছিল সিডনি হেরাল্ড। যার উত্তর অবশ্য খেলোয়াড়রা দেননি। দিয়েছে সিএ। তাদের দাবি, চোটের কারণে দলে ছিলেন না, তাই স্মিথ-ওয়ার্নারের পুর্নমিলনিতেও থাকা হয়নি এ দুই পেসারের।