জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গেছে এক ম্যাচ আগেই। প্রত্যাশিত সাফল্যে তাই স্বস্তিতে বাংলাদেশ। সুযোগ এসেছে প্রথম দুই ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকা কয়েকজনকে পরখ করার। বিশ্বকাপের আগে সেরা স্কোয়াড গঠনের চিন্তা থেকেই সুযোগটা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে টাইগার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা অল্প কিছু পজিশনেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ আছে বলে মনে করেন।
শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ। জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার হাতছানি টাইগারদের সামনে। ৩ বছর পর এমন অর্জনের সুযোগ লুফেই নিতে চায় বাংলাদেশ।
প্রথম দুটি ম্যাচে খেলেছেন ১১ ক্রিকেটার। একাদশের বাইরে অপেক্ষমাণ রুবেল হোসেন, আরিফুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, আবু হায়দার রনি। শেষ ম্যাচের স্কোয়াডে হঠাৎ করেই যোগ হয়েছেন সৌম্য সরকার। বৃহস্পতিবার ঐচ্ছিক অনুশীলন করেছেন এই পাঁচ ক্রিকেটারই। বাকিরা বিশ্রামে ছিলেন টিম হোটেলে। হোটেল লবিতে বসেই সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মাশরাফী।
তৃতীয় ম্যাচে দল নিয়ে কেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা হতে পারে?
মাশরাফী: আসলে সব জায়গায় দেখার প্রয়োজন নেই। আপনি যদি আসল চিত্রটি দেখেন যে রাব্বি (ফজলে মাহমুদ) এসেছিল কারণ সাকিব নেই, একজন বাঁ-হাতি স্পিনারের প্রয়োজন সেভাবে চিন্তা করা হয়েছে। তবে সাইফউদ্দিনেরটা একেবারে নিশ্চিত ছিল যে, একজন অলরাউন্ডার খোঁজা। আর একমাত্র সেই আছে সাম্প্রতিক সময়ে। এইচপি বা ঢাকা লিগে যেখানেই বলেন সে ভালো করছিল। সুতরাং সেটি ছিল আমার মতে আবশ্যক। এছাড়া আপনি যদি দেখেন যে আসলে এত পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। আমি মনে করি, যে ছয় (ব্যাটিং-অর্ডার) পর্যন্ত সবাই বিশ্বকাপ পর্যন্ত যদি সুস্থ থাকে তাহলে তেমন পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ কিন্তু কম। আর সাকিব এবং তামিম যখন ফিরে আসবে তখন সুযোগটি কম থাকবে। হয়তো সাত নম্বরে পরিবর্তন আনা যাবে, অথবা একজন অতিরিক্ত বোলার। সাইফিউদ্দিন ভালো করছে। সুতরাং আমার কাছে মনে হয় সবমিলিয়ে সাউফউদ্দিনের ফেরাটা ভালো হয়েছে। আর ওকে নিয়ে সবাই আশাবাদী। আর আমার মতে, তেমন বেশি কোনো জায়গা নেই পরিবর্তন করার মত। সৌম্য হয়তো কালকে (শুক্রবার) দলের সাথে যোগ দিয়েছে। তবে তার ক্ষেত্রে কি হবে সেটি এখনও জানি না। তবে এখন দুই-একজন খেলোয়াড়কে দেখা যেতে পারে। আমার কাছে মনে হয় যেহেতু বিশ্বকাপের আগে তেমন বেশি ম্যাচ নেই, তাই যাদেরকেই চিন্তা করা হয় তারা যদি ফর্মে নাও থাকে এরপরেও তাদেরকে খেলিয়ে, আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিকল্প কখনো আট মাসে তৈরি হয় না। সুতরাং যাদের বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ বেশি তাদেরকে খেলিয়ে তাদের পারফরম্যান্স দেখে দলে নিশ্চিত করা এবং ঠিক করা যে তারা খেলবে বিশ্বকাপে, এই ধরণের মানসিক সাপোর্ট তাদেরকে দেয়া যেতে পারে।’
চারজন শুরু থেকেই বাইরে আছেন। তাদেরকে সুযোগ দেয়া হবে কিনা এবং আরিফুলকে নিয়ে কী ভাবনা?
মাশরাফী: আরিফুলের বিষয়টি যেটি ছিল সেটি হল, সে একজন খাঁটি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবে। তবে এখানে কিছু বিষয় থাকে। এক্ষেত্রে এশিয়া কাপের কথা বলি। বোলিং অলরাউন্ডারের দিক থেকে খুব বেশি নিশ্চিত নই। কারণ নেটের বোলিং আর ম্যাচের বোলিং পুরো ভিন্ন বিষয়। এশিয়া কাপের মত জায়গায় শুধু বোলিং বিবেচনা করে আরিফকে খেলানো একটি ঝুঁকি ছিল। এই জায়গায় আমরা হয়তো একজন খাঁটি ব্যাটসম্যান অথবা বোলার খেলিয়েছি যখন বিশেষ করে সাকিব ছিল না। তবে ও বোলিং অনুশীলনে বেশ ভালো করছে। হয়তোবা এখানে আপনি যে পয়েন্টের ব্যাপারে বললেন যে আরিফ অনেক দিন থেকে দলের সাথে আছে। সুতরাং ওর ম্যাচ খেলাটা আসলে অনেক জরুরি হয়ে গেছে এবং সেভাবে চিন্তা ভাবনা চলছে। তবে একই সময়ে আমি মনে করি যে, অবশ্যই যারা আছে তারা প্রত্যাশা করে। আর সৌম্য কোনো স্পেশালিষ্ট হিসেবে খেলবে সেটাও কিন্তু ম্যাটার করে যে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবে নাকি অলরাউন্ডার হিসেবে খেলবে। তবে বোলার হিসেবে তো অবশ্যই সুযোগ কম, সে হয়তো টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবে। আর আরিফুল খেলবে অবশ্যই একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসেবে। তো দুটি দুই জায়গা। আসলে আলোচনা করলে বোঝা যাবে কোন চিন্তা থেকে তাদেরকে নিয়েছেন নির্বাচকেরা বা পরবর্তীতে কি হবে।
মিঠুনের ব্যাটিং দেখে কেমন মনে হলো?
মাশরাফী: গত বছর যখন রংপুরে (রাইডার্স) খেলি তখন ওর ব্যাটিং দেখে আমার কাছে মনে হয়েছিল সে অনেক বেশি ইতিবাচক। তখন থেকেই ওর সাথে আলোচনা করি যে কীভাবে ব্যাটিং আরও উন্নত করা যায়। যদিও আমি টেকনিক্যাল কোনো কোচ না, তাই বলেছিলাম ভালো কোনো কোচের সাথে আলোচনা করে মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত হতে। সৌভাগ্য এবং দুর্ভাগ্যবশত ও দলে সুযোগ পেয়েছে, কিন্তু আমরা তাকে সঠিক পজিশনে খেলাতে পারিনি। এবার যেটি হয়েছে সে ফিরে আসার পরে আমরা তাকে সঠিক পজিশনে খেলাতে পেরেছি এবং এর কারণে নিজের পজিশন পেয়ে সে অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী এখন এবং খুব ভালো খেলছে এই মুহূর্তে। দলের ভারসাম্যটি বেশ সুন্দর করে দিয়েছে সে। ও যদি এভাবে খেলতে থাকে এবং ইতিবাচক ব্যাটিং করতে থাকে তাহলে দলের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। এখন এটি ওকেও বুঝতে হবে এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। কারণ কালকে (শুক্রবার) ফর্মের কি হবে সেটি কেউ জানে না। তো যতক্ষণ ফর্ম আছে এক্ষেত্রে প্রতিটি দিন তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ফর্ম চলে গেলে আসলে ফর্মে ফেরা অনেক কঠিন। সুতরাং সে যখন ফর্মে আছে তখন তাকে নিশ্চিত করতে হবে সেটি ধরে রাখা। যেমন প্রথম ম্যাচে আমি ওকে বলেছিলাম যে, ও যদি পঞ্চাশ করার পর আরও বড় রান করতে পারতো তাহলে দলের জন্য ভালো হতো। ওর নিজের জন্যও ভালো হতো। তবে এখন পর্যন্ত সে খুব ভালো খেলছে। এটি দলের জন্য অনেক ইতিবাচক।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইমরুল-লিটন সেঞ্চুরি বিসর্জন দিয়েছে। অথচ ওই সময় কোনো চাপই ছিল না।
মাশরাফী: এটি নিয়ে ড্রেসিংরুমেও আলোচনা হয়েছে। তবে সবকিছু ভালোর ভেতরে খারাপ থাকে আবার খারাপের ভেতরেও ভালো থাকে। আসলে এধরণের সুযোগ তো সব দিন আসে না। তাই সুযোগগুলো অবশ্যই কাজে লাগানো উচিৎ। ইমরুল ৮০ থেকে ৯০ পর্যন্ত যে ব্যাটিংটা করলো সেটি ৯০ থেকে না করে আবার শট খেলতে গেছে। তো এই সমন্বয়গুলো আসলে জরুরি। লিটন এবং ইমরুল দু’জনই বুঝতে পেরেছে। ওদেরও খারাপ লেগেছে। তবে আল্টিমেটলি হয় কি, একবার কিছু চলে গেলে সেটি তো আর ফিরে আসে না। খুব ভালো বলে যদি তারা আউট হতো তাহলে সেটি কিছু করার ছিল না। যেভাবে দু’জনই আউট হয়েছে তারা হয়তো নিজেরাও বুঝতে পেরেছে যে ভুল হয়ে গেছে। আশা করবো যে পরবর্তীতে এমন সুযোগ আসলে যেন না ছাড়ে। যদিও আমরা এটি সবসময় আলোচনা করি। বেশিরভাগ সময়ে আমরা ভুলগুলো করছি, তো এগুলো আমাদের কমাতে হবে। অবশ্যই বড় মঞ্চে এগুলো ক্রাইমের পর্যায়ে চলে যাবে।’
আপনি দুই জায়গায় ইনজুরি নিয়ে খেলছেন। পরের ম্যাচেও খেলার সম্ভাবনা কতটুকু?
মাশরাফী: দেখুন, আমি তো একটি ফরম্যাটে খেলি। সুতরাং যেভাবেই হোক সবসময় খেলতে চাই। অন্যদের মত না যারা টেস্ট খেলে, কিংবা টি-টুয়েন্টি খেলে। অথবা ঘরোয়া লিগে চার দিনের ম্যাচ খেলে। আমার জন্য তো সেটা না। আমি তো একটি ফরম্যাট খেলি। তো এখানেও যদি বিশ্রাম নেই তাহলে বেশ কঠিন হয়ে যায় নিজেকে সেট করা। তবে কিছু ইনজুরির কারণে সমস্যা হচ্ছে, হচ্ছে না যে এমন না। তবে এই সিরিজের পর চার-পাঁচ সপ্তাহ সময় আছে। হয়তো বা একটু ভালো ট্রিটমেন্ট দরকার আমার। সেটি সম্ভব এরপরে। এখন দেখি এরপরেও কোচ এবং নির্বাচকেরা আলোচনা করার পরে দেখা যাবে।
চার নম্বর পজিশনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে কিনা?
মাশরাফী: চার নম্বরের বিকল্প তো আমাদের এখানে নেই। পাঁচেও মিঠুনের ব্যাকআপ মিঠুনই আছে। ছয়ে রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) খেলছে আর সে ওখানেই খেলবে। এখন যদি আপনি রিয়াদের ব্যাকআপ খুঁজতে চান তাহলে আমার কাছে মনে হয় নতুন একটি দল নিয়ে সেটি করতে হবে। আর যারা আছে তাদের পজিশন অনুযায়ী বসানো যায়। যেমন আরিফকে একটি সুযোগ অবশ্যই দেয়া যায়। আবু হায়দার রনি আছে। এছাড়াও রুবেলকে নিজেকে প্রমাণ করেছে । তেমন সমস্যা নেই তার। শান্ত যদিও পর পর তিনটি সুযোগ বড় মঞ্চে পেয়েছে, হয়তো সামনেও পাবে। তো আমার কাছে মনে হয় বসানোর ক্ষেত্রে একজন নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে যে সে কি চায়? তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। যেমন মুশফিক দেখেন গতকাল (বুধভার) ৪০ রানে অপরাজিত ছিল এটি ও অনুভব করে যে এতে তার আগামীতে ফর্মে থাকতে সুবিধা হবে। এটি ম্যান টু ম্যান আসলে নির্ভর করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রস্তুতি বা সামনে এগিয়ে যেতে বা ফর্ম কীভাবে ধরে রাখতে হবে এগুলো কিন্তু নির্ভর করে। যেমন রিয়াদের কথা যদি বলেন, সে প্রথম ইনিংসে রান করেনি সুতরাং সে অবশ্যই চাইবে খেলতে। এই জিনিসগুলো কিন্তু অনেক সময় ম্যাটার করে। আমার কাছে মনে হয় সবাইকে তো সরানো যাবে না। একটি দুটি জায়গা আছে যেগুলো নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ থেকে পেস-অলরাউন্ডার সাইফদ্দিন বড় প্রাপ্ত কিনা?
মাশরাফী: সাইফউদ্দিন ভালো করেছে। ব্যাটিংও ভালো করেছে, বোলিংও ভালো করেছে । ইমরুলের কথাও বলতে হবে। সে অনেক ভালো খেলছে এশিয়া কাপ থেকেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে সে রান করতে পারেনি, তবে এরপরেও খুব ভালো খেলছে। একটি হেলদি প্রতিযোগিতা যে ওপেনিংয়ে হচ্ছে এটি খুব ইতিবাচক একটি দিক আমার কাছে। ওপেনিংয়ে তামিম না থাকার পরেও এমন প্রতিযোগিতা হচ্ছে। আমি নিশ্চিত যে ওরা তিনজন যখন থাকবে এবং তামিম আসবে তখন প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে। কারণ তামিম হল আসল পারফর্মার। আর এই প্রতিযোগিতাটি যেন আরও বাড়ে সেটাই আসলে প্রত্যাশা করছি। সাইফুদ্দিন সাত-আটে যদি এভাবে ব্যাটিং করে, ইংল্যান্ডে কখনো কখনো ম্যাচ খেলতে হতে পারে চার পেস বোলার নিয়ে। সেক্ষেত্রে সাইফুদ্দিন যদি সাতে এভাবে ব্যাটিং করতে পারে তাহলে সেটা আমাদের জন্য অনেক ইতিবাচক ব্যাপার। আর অপুও খারাপ বোলিং করছে না। তার অভিষেক হয়েছে অল্প কয়েকদিন হল। সেও খারাপ করছে না। সুতরাং ইতিবাচক দিক বেশ কিছু আছে। তবে আরও সময় যখন যাবে তখন বোঝা যাবে। এখনও তো আর্লি স্টেজ, বাংলাদেশে খেলছে, সকলেই তাই আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু আরও সামনে যখন যাবে, বড় ম্যাচের ক্ষেত্রে তখন আরও পরিষ্কার বোঝা যাবে। যেসব ইতিবাচক দিকের কথা বলছি, এগুলো নেতিবাচকভাবেও বলা যায় যেমন এশিয়া কাপ ফাইনাল। সুতরাং বড় মঞ্চে আমরা কেমন করি সেটাও কিন্তু ম্যাটার। এখান থেকেই আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে হবে।’
ফজলে রাব্বির সুযোগ পাওয়া এবং শূন্য হাতে ফেরা কীভাবে দেখছেন?
মাশরাফী: সত্যি কথা বলতে, আপনি যদি আমাকে দল নির্বাচন করতে বলেন তাহলে ওকে আরেকটি সুযোগ দিতে আমি দ্বিধা করবো না। আমার কাছে মনে হয় সে অনেক বেশি দুর্ভাগ্যবান। আর দ্বিতীয় কথা হল একই সময়ে ধরেন শান্তও (নাজমুল হোসেন) বসে আছে। সেক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই চাওয়া থাকবে যে শান্তই খেলুক। এখানেও একটি পয়েন্ট আছে। এখানে আসলে একা বলে কিছু হবে না। সবার সাথে আলোচনার ব্যাপার আছে। আমি যেটি বলবো সেটিই যে হবে তাও না। তবে রাব্বি আরেকটি সুযোগ পেলে আমি কিছু মনে করবো না, আমার সমস্যা নেই। আর আমি বিশ্বাস করি, ব্যাকআপ করলে এভাবেই করা উচিৎ। একজন খেলোয়াড়কে নিলে তাকে সেভাবেই ব্যাকআপ করা উচিৎ। আর আমি এটাই মনে করি। আমার ক্ষেত্রেও এটি হতে পারত। খেলোয়াড়ের সবদিক নিয়ে যদি আমি চিন্তা করি তাহলে আমার কাছে মনে হয় ভালোভাবে ব্যাকআপ করা সম্ভব। সে কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করেই এই পর্যন্ত এসেছে। হুট করে দুটি ম্যাচে আউট হয়ে গেছে।
আপনার দেখা জিম্বাবুয়ে এবারও সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষ কিনা?
মাশরাফী: আসলে তারা যখন এসেছে তখন আমার কাছে মনে হয়েছিল যে এই দলটি কঠিন হবে হারানোর জন্য। কারণ তাদের দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাই এসেছে। সাত নম্বরে যখন মুর ব্যাটিং করছে এবং সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সে খুব ভালো খেলেছে সুতরাং ব্যাটিং অর্ডার দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে খুব বেশি সহজ হবে না। তবে ধন্যবাদ ছেলেদের যে, তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপারটি দেখেছে এবং এখানে সাধারণত স্পিন হ্যান্ডেল করা একটু কঠিন। ধারাবাহিকভাবে স্পিন চলতে থাকলে ভুল হয়ে যায়। ওরা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবথেকে অভিজ্ঞ দল নিয়েই এখানে এসেছে। এখনো একটি ম্যাচ আছে। খুব বেশি কিছু তো বলা যায় না। তবে সিরিজ জিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বলতে পারেন একটি শান্তির জায়গা আছে। এখন একটু রিল্যাক্স লাগছে।