সবার সুরক্ষার জন্যই ডাটা সংরক্ষণ আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
রোববার রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ‘ডাটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট ২০২২ এর উপর স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠান শেষে তিনি কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, ডাটা প্রোটেকশন আইনটা ডাটা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হবে না। এটা হবে ডাটা সুরক্ষার জন্য। এ বিষয়ে আরও দু তিনটা কন্সালটেশন হবে। সেখান থেকে যুক্তিযুক্ত পরামর্শ গ্রহণ করা হবে। যেটা সকলের জন্য মঙ্গলজনক সেটাই করা হবে। জুলাই আগস্ট মাসে এটা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব। সেপ্টেম্বর মাসে আইনের ড্রাফ্টটা প্রস্তুত করে কেবিনেটে উঠাবো। এরপর ডিসেম্বর নাগাদ সংসদে উত্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন আমাদের সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন, তখনই তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতার গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন, সেখানে হাত দেয়ার ক্ষমতা কারো নাই। আমরা যেহেতু আইনের শাসনে বিশ্বাস করি এবং জাতির পিতার নীতি অনুসরণ করি, সেহেতু আমরা সেটায় হাত দিবই না।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, উপাত্ত সংরক্ষণ আইনের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের, প্রতিষ্ঠানের এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারবো।
তিনি বলেন, এখন কিন্তু ডাটাকে নতুন সম্পদ বলা হচ্ছে। যাদের যত বেশি তথ্য উপাত্ত থাকছে তারা তত বেশি ধনী। তার কারণ হচ্ছে সেই ডাটা গবেষণা করে নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করতে পারছে। এটা এখন ট্রিলিয়ন ডলার মার্কেট প্রাইজ হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানী আমাদের ফ্রি সার্ভিস দিয়ে আমাদের তথ্য তারা নিয়ে যাচ্ছে। এজন্যই আমাদের ডাটা সংরক্ষণ আইন করা দরকার হচ্ছে। আর এ আইন হলে আমাদের তথ্য উপাত্ত বাণিজ্যিকভাবেও ব্যবহার করতে পারবো। তখন কিন্তু আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করতে পারবো তারা যাতে আমাদের অনুমতি ছাড়া এ তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করতে না পারে।
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, সাবেক আইন সচিব শহিদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাটররা তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।