সিলেট পর্ব শেষে দুইদিনের বিরতির পর শনিবার ঢাকায় শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। শুক্রবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে যারাই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন প্রশ্ন গেল চন্ডিকা হাথুরুসিংহে প্রসঙ্গে। বাংলাদেশের হেড কোচের হঠাৎ পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা।
চলুন দেখে নেওয়া যাক কে কী বলছেন
ফারুক আহমেদ (সাবেক ক্রিকেটার ও নির্বাচক, সিলেট সিক্সার্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর):
‘বিদেশি কোচ আসবে, তারা সারা জীবন থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেভাবে সে পদত্যাগ পত্র দিয়েছে এটা পেশাদার ছিলো না। কারণ বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ভালো করেছে। তার সঙ্গে যে চুক্তি, তার সুবিধা, পৃথিবীর অন্যতম সর্বোচ্চ বেতনভুক্ত কোচ, এছাড়া তার অনেক কর্তৃত্ব ছিল। আমাদের পক্ষ থেকে অনেক কিছু করা হয়েছিল। কোচ সারাজীবন থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। আগে জানালে আমাদের জন্য ভালো হতো। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বোর্ড প্রেসিডেন্ট ভালো বলেছেন যে তিনি একটা চেষ্টা করবেন। আর কিছু না হলে অবশ্যই নতুন কোচ খোঁজ করবেন। আর এর সাথে এই বোর্ডে অনেক সক্ষম ব্যক্তি আছে, যেমন ক্রিকেট অপারেসন্সে আকরাম আছে, খালেদ মাহমুদ আছেন, টেকনিক্যাল কমিটির আতাহার আলী আছেন, নাইমুর রহমান দুর্জয় আছেন, অনেকগুলো সাবেক অধিনায়ক আছেন। আমার মনে হয় তারা নতুন কাউকে বের করবেন। এই প্রস্থানটা খুব একটা সুখকর না আমাদের জন্য।’
খালেদ মাহমুদ সুজন (বিসিবি পরিচালক, কোচ ঢাকা ডায়নামাইটস):
‘কেন যাচ্ছেন আমরা তার কারণ এখনও জানি না। তার সাথে কথা হলে জানতে পারবো। তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন এই তিন বছরে। যদি না থাকেন আমরা তাকে খুব মিস করবো।’
মোহাম্মদ রফিক (সাবেক ক্রিকেটার, বোলিং কোচ রংপুর রাইডার্স)
‘বিসিবির বড় দায়িত্ব এখন তাকে চাপ দেওয়া। নিজের দেশে বসে কীভাবে পদত্যাগ পত্র দেয়? পদত্যাগ করবে ভাল কথা, বোর্ডে এসে করবে। বিসিবিকে আমি অনুরোধ করবো, এটা যাতে ভাল করে দেখা হয়। কোড অব কন্ডাক্ট আছে, অনেক রুলস আছে। চাইলেই ছেড়ে দেওয়া ঠিক নয়। বোর্ড কেন মেনে নেবে, আলাপ করুক কী কারণে ছাড়ছেন। আমাদের কী ভুল ছিল, বা তার কী ভুল ছিল। যাবে সমস্যা নেই, কিন্তু জানিয়ে তো যাবে। আমি মনে করি কোচের ব্যাপার নিয়ে খেলোয়াড়দের মাথা ঘামানো উচিত না। তারা পেশাদার খেলোয়াড়। এখানে যে কোচই আসবে, বিদেশি কোচ না আসলে স্থানীয় কোচ থাকবে, খেলতে হবে তো। টিমের যদি প্রস্তুতি ভাল থাকে কোচ বড় পার্ট না।’’
নুরুল হাসান সোহান (ক্রিকেটার বাংলাদেশ দল ও সিলেট সিক্সার্স):
‘কোচ চলে যাচ্ছেন তার জায়গায় অবশ্যই অন্য কেউ আসবে। আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না। একজন যাবে। একজনের জায়গায় আরেকজন আসবেন সেটাই স্বাভাবিক। এখন স্থানীয় কাউকে নেওয়া হবে কিনা এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমাদের খেলোয়াড় যারা আছেন সবাই পেশাদার। যেই দায়িত্বে আসুক না কেন সবাই তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন।’