চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘সবাই অপেক্ষায় থাকে ইংল্যান্ডের টুঁটি চেপে ধরতে!’

কয়েকদিনের মাঝে মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখে ফেলল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপের মাঝপথ পর্যন্ত যারা ছিল শিরোপার অন্যতম দাবিদার, টানা দুই হারে তাদেরই চেপে ধরেছে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা! স্বাভাবিকভাবেই সাবেকদের সমালোচনার তীর ছুটে আসছে মরগানদের দিকে। বিষয়টি নিয়ে ভীষণ বিরক্ত ওপেনার জনি বেয়ারস্টো!

বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে এখন পর্যন্ত চারে আছে ইংল্যান্ড। কাগজে-কলমে সেমির পথ খোলাই। খেলাটা এখনও নিজেদের হাতেই। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে পরাশক্তি ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হবে স্বাগতিকদের। ওই দুই ম্যাচে হারলে, আর বাংলাদেশ-পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কা নিজেদের ম্যাচে কাজের কাজটা ঠিকঠাক করলে, সেমিতে আর ওঠা হবে না ইংলিশদের।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

অথচ আসরের মাঝামাঝি সময়েও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জয় পাওয়ার কত দ্রুত সেমিতে পৌঁছে যাবে স্বাগতিকরা সেটাই ছিল আলোচনার কেন্দ্রে। কিন্তু শ্রীলঙ্কা আর অস্ট্রেলিয়ার কাছে টানা দুই হারের পর পরিস্থিতি পাল্টে গেছে। জেফরি বয়কট থেকে শুরু করে মাইকেল ভন, কেভিন পিটারসেনের চাঁচাছোলা কথায় ধুয়ে যাওয়ার অবস্থা মরগানদের।

যদিও সমালোচনাকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো সাবেকদেরই একহাত নিয়েছেন বেয়ারস্টো, ‘এগুলো সবই রঙ্গমঞ্চ। তাদেরকে  অর্থ দেয়া হয় কথা বলার জন্য।’

অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর মরগানকে ধুয়ে দেন পিটারসেন। অজি পেসার মিচেল স্টার্কের বল ভয় পান ইংলিশ অধিনায়ক, এমন কথা বলে তাকে খোঁচাও দেন সাবেক এ ব্যাটসম্যান। আর বিবিসি-৫ রেডিওকে ভনের ভবিষ্যৎবাণী ছিল, ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য বিশ্বকাপ পরিণতির পথে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড।

ভনকে উল্টো কথায় একহাত নিয়ে বেয়ারস্টোর পাল্টা দাবি, ‘তিনি (ভন) নিজেই বলেছেন যে, তিনি জঘন্য দুটো বিশ্বকাপ খেলেছেন। আর আমরা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে টিকে আছি, দারুণ ক্রিকেট খেলছি।’

‘লোকজন আমাদের হারের অপেক্ষায় বসে থাকে। বহু কারণে তারা চায় না যেন আমরা জিতি। তারা চায় আমরা যেন গো-হারা হারি। তাতে আমাদের টুঁটি চেপে ধরতে তাদের সুবিধা হয়! ইংলিশ জাতিটাই এমন, সবরকম খেলাধুলার ক্ষেত্রেই।’ বেয়ারস্টোর ক্ষোভ ঝরেছে এমন কথাতেই।