ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় ‘আলতাবানু’ ছবিতে অভিনয় করেছেন দর্শক নন্দিত অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম। ইতোমধ্যে এই ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। তার অভিনীত এই ছবি এবং আরও নানা বিষয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন এই লাক্স তারকা।
‘আলতাবানু’ ছবির কী খবর?
ছবির শুটিং শেষ করেছি। এখন ডাবিং করছি। দুয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।
অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অভিজ্ঞতা খুব ভালো। এত সুন্দর একটি গল্পের জন্য প্রথমেই ফরিদুর রেজা সাগর ভাইকে ধন্যবাদ। নির্মাতা অরুণ চৌধুরীকেও ধন্যবাদ। এখানে ‘আলতা’ চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। গল্পের যে চরিত্র সেটা পড়ার পর মনে হয়েছিল এই চরিত্র আমি করতে চাই। একটা মেয়ের জার্নির মধ্যে দিয়েই পুরো ছবির গল্প প্রকাশ পায়। আর এই জার্নিটা বেশ কঠিন ছিল। সেটুকু যদি আমি পুরোপুরি করতে পারি তাহলে আমার মনে হবে অনেকখানি আমরা কাজ করতে পেরেছি।
কাজ শেষে নির্মাতার কাছ থেকে শুনলাম চরিত্রটি এখন ভালো দেখাচ্ছে। চরিত্রের জায়গা থেকেও তা মনে হচ্ছে। আমার মনে হয় পুরোপুরি শেষ হলে আরও বেশি সামনে চলে আসবে চরিত্রটি। আর কাজের দিক থেকে মিলন ভাই, সাবেরি আলমের সঙ্গে অনেক কাজই করেছি। আমি বলব একটা কাজে আসলে দলবদ্ধ হওয়াটা জরুরী, যা এখানে ভালো মতই ছিল।
সম্প্রতি আপনি নাকি হিন্দি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে কিছু বলবেন?
হুম। কয়েকদিন আগে ভারত গিয়ে কাগজে কলমে চুক্তিবদ্ধ হলাম। ঋতুপর্ণ ঘোষের গল্প, নির্মাণ করছেন ফয়সাল সাইফ। আর ছবির নাম বা কাস্টিং নিয়ে আসলে এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। কারণ নির্মাতা সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে এসে আগামী মাসেই সব কিছু প্রকাশ করবেন। তবে একটা কথা না বললেই নয়, আমার চরিত্রের মধ্যে বড় একটা টুইস্ট আছে। ডিসেম্বর শুটিং শুরু হবে। ভারতেই হবে পুরো শুটিং।
ছবির জন্য কোন প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
নির্মাতা বলেছেন শারীরিক গড়ন নিয়ে কোন প্রস্তুতি আলাদা করে দরকার নেই। তবে যেহেতু চরিত্রে বড় ধরণের একটা টুইস্ট আছে তাই শুধু চরিত্রের লুক ফুটিয়ে তোলার জন্য যে বিষয়গুলো থাকে সেটা নিতে বলেছে। সেজন্য অক্টোবরে যখন আবার যাব তখন ফটোশুট হবে। অল্প অল্প করে রিহার্সেলও শুরু হয়েছে।
আর ভাষা নিয়ে…?
প্রথমদিকেই এই প্রশ্ন নির্মাতার কাছে ছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, এটা নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নেই। আর ছবির আগে থেকে শেষ পর্যন্ত আমি সবসময় যেন হিন্দি কথা বলতে পারি সেজন্য একজনকে রাখা হয়েছে। যার সঙ্গে আমি হিন্দিতে কথা বলব।আপনার চরিত্র কতোটা চ্যালেঞ্জিং?
শুধু চরিত্র নয়, পুরো প্রজেক্টই আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং। ওই ইন্ডাস্ট্রিতে যেহেতু আমি নতুন, তাই আমার কাছে পুরোটাই চ্যালেঞ্জের বিষয়। তবে যারা অভিনয়শিল্পী তাদের সারা পৃথিবীতে একটাই পরিচয় তারা অভিনয়শিল্পী। অভিনয় যেখানে মূখ্য হয়ে উঠে সেখানে অন্যান্য বিষয় এমনিতেই সমন্বয় করা যায়।
এমন কোন চরিত্র আছে যা আপনি করতে চান?
আসলে আমরা অভিনয়শিল্পীরা কিন্তু অনেক কাজ করি। আর তাতে অনেক চরিত্রই করা হয়ে যায়। আমি চাই পরিচালকরা আমাকে বলবে: মম, তুমি এই চরিত্র করবে, যেটাতে তুমি যেমন, তার বিপরীত। এক কথায় চ্যালেঞ্জিং বা নতুনত্ব আছে এমন কিছু।
এবার ঈদে ছোটপর্দায় কোন কাজগুলো থেকে ভালো সাড়া পেয়েছেন?
এবার অনেক ভিন্ন ভিন্ন কাজ ছিল। ‘দ্য ফাদার’, ‘যন্ত্রজাল’, ‘ক্যাফে ৯৯৯’, ‘ছায়া’ এগুলো থেকে বেশ সাড়া পেয়েছি। আসলে একজন অভিনয়শিল্পী ঈদে বেশ কিছু কাজ করে। এরমধ্যে যদি কোন কাজ দর্শকের ভালো লেগে যায় এটা আসলে অনেক বড় ব্যাপার। আর আমাকে অভিনয়ের জায়গা করে দিলে সেটা খুবই ভালো লাগে।আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
আমার সবসময় অভিনয় সম্পর্কিত পরিকল্পনা থাকে। আমি যে কাজ গুলো করেছি সেটা থেকে আরেকটা ধাপে যেন এগোতে পারি এমন পরিকল্পনা থাকে। আসলে স্টেপ বাই স্টেপ এগোতে পছন্দ করি আমি। অভিনয়শিল্পীদের জীবন সহজ নয়। অভিনয় দেখতে সহজ মনে হলেও পৃথিবীব্যাপী অভিনয় একটা সাধনার ব্যাপার। তাই আমি অভিনয়ে ডুব দিতে চাই, আর ডুব দিয়ে দর্শকের কাছে পৌছাতে চাই।
ছবি: জাকির সবুজ