আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কয়েক বছরের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে ব্রেন্ডন টেলরের। ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার কথা আইসিসিকে জানাতে দেরি করায় নিষিদ্ধ হতে চলেছেন ৩৫ বছর বয়সী জিম্বাবুইয়ান।
২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারতীয় এক ব্যবসায়ীর থেকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান টেলর। হুমকির মুখে পরিবারের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে আইসিসিকে তৎক্ষণাৎ বিষয়টি জানাননি তিনি। টেলর নিজেই জানিয়েছেন এসব কথা।
সোমবার দীর্ঘ এক টুইটার পোস্টে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেছেন টেলর। পুরো ঘটনা বর্ণনার জন্য বিলম্বের কারণও ব্যাখ্যা করেছেন ডানহাতি ব্যাটার।
‘আইসিসিকে অভিযোগ জানাতে আমার ৪ মাস লেগেছে। জানি এটা অনেকবেশি সময়, পরিবারের সুরক্ষার কথা ভেবে নিশ্চুপ ছিলাম। নিজেই আইসিসির সাথে যোগাযোগ করেছি এবং ভেবেছিলাম আমার পরিস্থিতিটা ব্যাখ্যা করতে পারলে তারা বিলম্বের ব্যাপারটা বুঝতে পারবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা বুঝতে পারেনি। তাই আমিও এ ব্যাপারে চুপচাপ থাকতে পারি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমিও অনেক সেমিনারে অংশ নিয়েছি এবং জানি সময়মতো জানানো কতোটা জরুরি।’
জীবনে কখনো ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত ছিলেন না বলেও দাবি করেছেন টেলর। ক্রিকেটের প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সবসময়ই সমুন্নত ছিল বলে উল্লেখ করেছেন।
‘কখনো কোনো ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সাথে যুক্ত ছিলাম না। অনেককিছু হতে পারি, তবে আমি প্রতারক না। ক্রিকেটের প্রতি আমার সম্মান এবং ভালোবাসার কারণে কোনো হুমকিই আমাকে বিচলিত করতে পারেনি।’
মূলত স্পন্সরশিপ এবং জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টুয়েন্টি লিগ আয়োজনের বিষয়ে আলোচনার জন্য টেলরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানান দেশটির এক ব্যবসায়ী। এমন বলেছেন টেলর। ভারতে আসার পর হোটেলরুমে ওই ব্যবসায়ী তাকে কোকেন খাওয়ার আমন্ত্রণ জানালে সাড়া দেন জিম্বাবুইয়ান তারকা।
কোকেন খাওয়ার সেই ভিডিও নিয়ে পরেরদিন টেলরকে ব্ল্যাকমেইল করতে হোটেলরুমে আসেন ৬ জন। সেখানে তাকে ১,৫০০০ ইউএস ডলার দিয়ে ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে প্রাথমিক চুক্তি সারে তারা।
আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন টেলর। নিজেকে সম্পূর্ণরূপে পরিশুদ্ধ করে সবার মাঝে ফেরার আগে কিছুদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকবেন জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক।