রমজান সামনে রেখে প্রচুর সবজি উৎপাদন করেছেন যশোরের চাষীরা। বাড়তি লাভের আশায় তিন মাস অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাঠের পর মাঠে সবজির আবাদ করছেন তারা। তবে প্রতিবছরের মতো এবারও পাইকারি বাজারে মধ্যস্বত্তভোগীদের দৌড়াত্মে ভালো দাম পাচ্ছেন না চাষী।
দেশের মোট চাহিদার ৫০ থেকে ৬০ ভাগ সবজি উৎপাদন হয় যশোরে। জেলার আট উপজেলার মধ্যে এবার শুধু সদরেই চাষ হয়েছে দু হাজার আটশো হেক্টর জমিতে । এর মধ্যে রয়েছে বেগুন, পটল, করলা, লাউ, শশা, কুমড়াসহ নানান সবজি।
বেগুন ২৫ টাকা, উচ্ছে ১৬ টাকা এবং পটল ৮ টাকা করে বিক্রি করেছেন বলে স্থানীয় এক সবজি চাষী জানান।
ক্ষেত থেকে সবজি তোলার পর স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কয়েক হাত বদল হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। ফরিয়া ব্যাপারিরা সিন্ডিকেট করে ইচ্ছে মতো দামে সবজি কিনছে চাষীর কাছ থেকে।
ব্যবসায়ের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় সবজি বিক্রেতারা। তারা বলেন, ঢাকায় ৩৫-৩৬ টাকায় বিক্রি করছি। কিন্তু আমাদের থেকে কিনে তারা বিক্রি করছে ৬০ টাকায়। অর্থাৎ আমাদের থেকে দ্বিগুণ।
চাষীদের অভিযোগ , খুচরা বাজারে সবজির আকাশছোয়া দাম থাকলেও পাইকারি বাজারে নামমাত্র দামে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।