আফগানিস্তানে উৎপত্তি হওয়া ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে উপদ্রুত পাকিস্তান এবং অাফগানিস্তানে নিহতের সংখ্যা দুই শতাধিক। আহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। শুধু পাকিস্তানেই মারা গেছে ১’শ ৩৯ জন। সেখানে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কারণ ভূমিকম্পের পর থেকে নিখোঁজ অসংখ্য মানুষ। দুর্গম এলাকা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় উদ্ধার কাজ চালানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।
লাহোর, ইসলামাবাদ, রাওয়ালপিন্ডি, পেশোয়ার, কোয়েটা, কোহাট ও মারাকান্দসহ বেশ কিছু জায়গায় ৪০ সেকেন্ড ধরে ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্প আঘাত হানার পর হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে আফগানিস্তানের একটি স্কুলে পদদলিত হয়ে ১২ কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের বয়স ১০-১৫ বছরের মধ্যে। তারা সবাই নর্দান আফগানিস্তানের তালুকান সিটি স্কুলের শিক্ষার্থী।
ওই ১২ ছাত্রীসহ দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের প্রাণহানীর খবর নিশ্চিত করেছে আফগান কর্তৃপক্ষ।
ভারতের উত্তরে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানায় অবকাঠামো এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যহত হলেও কারও প্রাণহানীর কথা জানা যায়নি। স্থানীয় সময় আড়াইটার কিছু পরে দিল্লী, কাশ্মির, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাব অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়।
ভারতের জম্মু কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরে বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ আপাতত বিচ্ছিন্ন রয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে দিল্লীতে মেট্রো রেলসেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরই মধ্যে ভূমিকম্প দুর্গত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানকে সর্বাত্মক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিশ্বব্যাপী ভূকম্পন পর্যবেক্ষণকারী মার্কিন সংস্থা ইউএসজিএস’র ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিলো আফগানিস্তানের জার্ম এলাকা থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের হিন্দুকুশ পর্বত এলাকায়। উৎপত্তিস্থলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫।