ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’র প্রভাবে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে সাগরের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে প্রবল জোয়ারে সন্দ্বীপের সারিকাইত ইউনিয়নের একটি স্পটে ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে আরও ২ থেকে ৩ টি জায়গায় বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের লোনা পানি প্রবেশ করেছে।
জোয়ারের পানিতে বেড়িবাঁধ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের চাষাবাদের জমির ফসল, পুকুরের মাছ ও খামারের হাঁস-মুরগী ভেসে গেছে। হঠাৎ জোয়ারের তাণ্ডব দেখে বেড়িবাঁধের এলাকার মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়।
এলাকাবাসী জানায়, ৩ নং সতর্ক সংকেতের কারনে রেডক্রিসেন্ট বা অন্যান্য সংস্থা খুব বেশী গুরুত্ব দিয়ে প্রচার-প্রচারণা না করায় লোকজন ‘ইয়াস’ ঘূর্ণিঝড়ে খুব বেশী আতঙ্কিত ছিল না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বাচিত ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টেকসই বাঁধের কাজ সম্পন্ন না করায় এ দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
সারিকাইত ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম পনির অভিযোগ করে বলেন, ‘ডলি কনস্ট্রাকশন কাজ নিয়ে তালবাহানা করায় সাধারন জনগন এ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সাগরের লোনাজলে অনেক মানুষ তাদের সহায় সম্পদ হারিয়েছে”। তিনি আরো জানান, ঘূর্নিঝড়ের আতঙ্কে পানি উন্নয়ন বোর্ড গতকাল তড়িঘড়ি করে বাঁধটি অস্থায়ীভাবে মেরামত করে, মাটি কম্পাকশান না হওয়ায় এটি ছিঁড়ে গেছে।
স্থানীয় জেলে মঙ্গল জলদাস জানান, সঠিক সময়ে বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় জোয়ারের পানিতে এলাকার ফসলের জমি নষ্ট হয়েছে, পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। প্রতিবন্ধী আজিজ জানান,সাগরের পানিতে তার ফার্মের হাঁসমুরগিগুলো ভেসে গেছে।
এলাকাবাসী বলেন,রাতের জোয়ারের আতঙ্কে আছেন সাধারন মানুষ, বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশংকা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরহাদ হোসেন বলেন, বেড়িবাঁধের যে অংশ ভেঙ্গে গেছে আমরা আজ রাতের মধ্যে তা সংস্কার করে দিব। ডলি কন্সট্রাকশনের কাজের অবহেলার কারণে আজ এ অবস্থা। বর্তমানে কাজটি সম্পন্ন করতে বিশ্বাস বিল্ডার্সকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । দ্রুত তারা কাজটি স্থায়ীভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।