রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় কানাডাপ্রবাসী তাহমিদ হাসিব খানের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগে প্রসিকিউশন (মামলা) দাখিলের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তাহমিদের সঙ্গে গ্রেফতার হাসনাত করিম গুলশান হামলার মূল মামলায় আসামী হওয়ায় তাকে পদ্ধতিগত কারণে ৫৪ ধারা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আবু জানান, তাহমিদের বিরুদ্ধে কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে এবং তার বিরুদ্ধে কোনো এলিগেশন নেই বলে তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রার্থনা করা হয়েছে। আদালত তাকে ৫৪ ধারার মামলায় অব্যাহতি দিয়েছে। হাসনাত করিমকেও ৫৪ ধারার মামলায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মূল মামলা আছে এবং চলবেও। তার বিরুদ্ধে স্পেসিফিক এলিগেশন আছে যে তার সম্পৃক্ততা আছে।
৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিলেও পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাহমিদের বিরুদ্ধে নন এফআইআর মামলা নিয়েছেন আদালত।
মো. আবদুল্লাহ আবু আরো জানান, যেহেতু তাহমিদ ঘটনাস্থলে ছিলো। তাই একজন সাক্ষী হিসেবে সে পুলিশকে সহযোগিতা করতে পারতো। পুলিশ তাকে ডেকেছিলো, মামলার ব্যাপারে জানার জন্য। কিন্তু পুলিশকে সে সহযোগিতা করেনি। যার দরুণ দণ্ডবিধি আইনে ১৭৬ ধারায় নন এফআইআর মামলা করার জন্য আদালতে অনুমতি চেয়েছিলো। আদালত আজ সেটা মঞ্জুর করেছে এবং তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৭৬ ধারায় নন এফআইআর মামলাটা চলবে।
গত ২ অক্টোবর তাহমিদ জামিনে মুক্তি পেয়েছে। কারাগারে আটক আছে হাসনাত করিম।
পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ না থাকায় তাহমিদ হাসিব খান এই মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন।
গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলে আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশীসহ ২০ জিম্মি নিহত হন। সেসময় সেখানে উপস্থিত থাকা কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তাহমিদ হাসিব খান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে ৩ আগস্ট ৫৪ ধারায় গ্রেফতারের কথা জানায় পুলিশ।
পরে হাসনাত করিমকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলেও তাহমিদকে সংযুক্ত করা হয়নি।
৫৪ ধারার অভিযোগ বিষয়ে তদন্তের পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে দুজনকেই অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সিএমএম আদালতে ওই আবেদনের শুনানির দিন ধার্য্য ছিলো বুধবার।