মার্কিন মুখ্য উপ-সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বড় ধরণের
সন্ত্রাসী আক্রমণের আগেই তা প্রতিরোধে আগাম তথ্য পেতে চায় বাংলাদেশ।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করবে বলেও
জানান তিনি।
সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁনের সঙ্গে বৈঠক করতে বেলা আড়াইটার দিকে সচিবালয়ে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের মুখ্য উপসহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম ই টডের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে দুই দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, বিদেশীদের নিরাপত্তাসহ আলোচিত হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সহযোগীতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। বৈষয়িক
সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় দুই দেশ কিভাবে এক সঙ্গে কাজ করতে পারি, সহযোগীতা
করতে পারি সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জঙ্গি দমনে সবার সহযোগীতা দরকার।
সরকারের একার পক্ষে এটা সম্ভব নয়। সেজন্য নাগরিক প্রতিনিধিসহ সবার সঙ্গে
কথা বলা হচ্ছে। যেন বাংলাদেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত থাকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোনো আন্তর্জাতিক জঙ্গি নেই। দেশী জঙ্গিরা নানা ঘটনা ঘটালেও তাদের বড় ধরণের আক্রমণের আগেই তা প্রতিরোধ করতে চাই। সারা পৃথিবীতে আজ সন্ত্রাসীদের আক্রমণে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে। বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে সেসব এখানেই সৃষ্ট সন্ত্রাসীদের দ্বারা হচ্ছে। তাদের দ্বারা আর আমরা আক্রান্ত হতে চাইনা, সেসব প্রতিরোধ করতে চাই। আগে থেকেই তাদের চিহ্নিত করতে চাই।
বিভিন্ন দূতাবাস তাদের নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কূটনীতিকপাড়ার নিরাপত্তা আরো জোরদারে সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।