চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তার আর ফোকাসে নেই সন্ত্রাসবাদ

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস বলেছেন, সন্ত্রাসবাদ নয়, বরং ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতাই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। আর তাই কংগ্রেসের কাছে বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়ানোর আবেদন রেখেছেন তিনি।

এক্ষেত্রে রাশিয়া ও চীনকে বড় হুমকি বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রতিরক্ষা নীতিতে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে জানান ম্যাটিস। হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, যদি কেউ যুক্তরাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করে তাহলে তার ফল ভালো হবে না।

নতুন প্রস্তাবিত জাতীয় পররাষ্ট্রনীতি ঘোষণার পর জেনারেল ম্যাটিস বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অর্থব্যয় না করে সামরিক শক্তি বৃদ্ধির দিকে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ দেয়া দরকার। চীন বা রাশিয়ার মতো পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হতে পারে। তাই তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সামরিক শক্তি বাড়ানো উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ম্যাটিস বলেন, নাইন ইলেভেনের পর থেকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পরিচালিত মার্কিন অভিযানকে আর মূল বিষয় হিসেবে দেখতে চায় না ট্রাম্প প্রশাসন। নতুন প্রতিরক্ষা নীতি মার্কিন সামরিক নীতির বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

জিম ম্যাটিস বলেন, ‘আমরা ক্রমেই রাশিয়া এবং চীনের মতো ক্ষমতাধর দেশগুলি থেকে হুমকির মুখোমুখি হচ্ছি। তারা স্বৈরাচারী মডেলের সঙ্গে মিল রেখে একটি বিশ্ব তৈরি করতে চায় যা কিনা অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে ভীষণভাবে প্রভাবিত করবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ বলছেন, ‘নতুন এই নীতি স্নায়ুযুদ্ধের সময়কালের মতো। এর ফলে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক হয়তো থাকবে, কিন্তু সেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হবে। এক ধরনের ‘বিকল্প যুদ্ধ’ শুরু হবে। আবার যেসব দেশগুলো সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রয়েছে, তাদের সঙ্গে সম্পর্ক কী হবে, সেটাও প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

ওয়াশিংটনের এমন নীতির তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার পরিবর্তে সংঘর্ষের মাধ্যমে বিশ্বে তাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অন্যদিকে চীন একে স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা বলে উল্লেখ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।