এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে শেষ পর্যন্ত দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়েছে। এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন। ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভুইঞার সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী- রুলস অব বিজনেস-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করেছেন। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়েছে। আর প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
খোন্দকার মোশাররফ হোসেন অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও থাকবেন।
এর আগে মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নিয়ে কিছু আলোচনার পর সরকারের ভেতরে-বাইরে তাকে অব্যাহতি দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না সৈয়দ আশরাফ।
সেইদিনই কিশোরগঞ্জে স্থানীয় সাংবাদিকদের বিষয়টি গুজব বলে উড়িয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর আওয়ামী লীগের সে সময়ের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও একই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পান তিনি।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটিই মন্ত্রিসভার প্রথম রদবদল। আর নিকট অতীতে এই প্রথম ক্ষমতাসীন কোনো দলের সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকলেন না।