চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সত্তর বছরেও শুদ্ধতা আসেনি ভাষার ব্যবহারে

যে জাতি-রাষ্ট্র মায়ের ভাষার দাবিতে বুকের রক্ত দিয়ে বিশ্বে অনন্য নজির স্থাপন করেছে, সত্তর বছরে সে দেশেই সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নাম শুদ্ধ করে বাংলায় লেখা নিশ্চিত করা যায়নি। ভাষাবিদ ও ভাষাসংগ্রামীরা বলছেন, এ দেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা জাতীয় এবং জীবিকার ভাষা না হওয়ায় এ দুর্দশা।

প্রচলিত এবং অর্থবোধক বাংলা শব্দ থাকার পরও সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের নাম ইরেজি কিংবা বাংলা ইংরেজির মিশেলে। ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই’, ‘সিনিয়র ফ্যাইন্যান্স কন্ট্রোলার- আর্মি’র মতো ইংরেজি নামের দৃষ্টান্ত অনেক। আবার ‘সিনিয়র অর্থ নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়’ এর মতো বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে রাখা নামও কম নয়। যেমন ‘জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে’র পাশে ‘জনস্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট’। অনায়াসে যা ‘জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান’ হতে পারতো। ‘ভাগ্যকুল বা মুসলিম ‘সুইটস’ মিষ্টান্ন হতে পারেনি। রাজধানীজুড়ে সাইনবোর্ডগুলোতে ভাষার ব্যাপারে এমন অনেক অযত্নের নজির।

মূর্তিকারিগর
‘ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার এর বাংলা নাম হতে পারতো ‘ইব্রাহিম হৃদরোগ সেবা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান’। খোদ রাজধানীতে এমন হাজারো উদাহরণ। ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক বলছেন, ঔপনিবেশিক মনোভাব থেকেই নিজের ভাষার প্রতি এমন অবজ্ঞা।

বাংলা কিংবা ইংরেজিতে লেখার বেলায় শুধু অক্ষর না পাল্টে সেই ভাষায় শুদ্ধ একটি নাম রাখা যেতে পারে। ভুল বাংলা-ইংরেজি বা বাংলা-ইংরেজির মিশেল প্রায় সব জায়গায়।

ভাষাবিদরা বলছেন, বিদেশী ভাষার ব্যবহারে রক্ষণশীলতা নয় বরং সচেতনভাবে শুদ্ধ বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। ভাষার সাবলীলতা ক্ষুণ্ন না করে বাংলা ব্যবহার নিশ্চিত করারও তাগিদ তাদের।

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টে: