রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি আবাসিক হোটেল আত্মহত্যা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব খান। মৃত্যুর আগে তিনি তার মৃত্যুর জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে দায়ী করে চিঠি লিখে গেছেন।
সেগুনবাগিচার হোটেল কর্ণফুলির একটি কক্ষে একমাস ধরে অবস্থান করছিলেন তিনি। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ হোটেল কক্ষের দরজা ভেঙে অর্ধমৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। সে সময় তিনি পুলিশকে জানান তিনি বিষ পান করেছেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুবের মুত্যু হয়।
মৃত্যুর আগে তিনি ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবর লেখা এক চিঠিতে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করে যান।
চিঠিতে নিজেকে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডোর বলে দাবি করেন। তিনি চট্টগ্রাম উত্তর ইউনিট প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন মহলে তদবির করছিলেন। কাজ করে দেওয়ার জন্য সচিব তার কাছ থেকে মাছ, শুটকি ও নগদ টাকা পর্যন্ত উপঢৌকন নিয়েছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাধিক বার দেখা করতে চেয়েও তিনি পারেননি। শেষ গতকাল সচিবের দপ্তরে গেলে, সচিব তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেন। এই অপমানের গ্লানি নিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করে গেছেন।