চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ইগো সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় যৌন জীবন, পরিণামে পরকীয়া

সম্পর্ক গড়তে অনেক সময় লাগে। কিন্তু ভাঙতে অল্প একটু ইগোই যথেষ্ট। তিলে তিলে গড়ে তোলা সম্পর্ককে নিমিষেই শেষ করে দিতে পারে ইগো। বিশেষ করে দাম্পত্য ঘনিষ্ঠতার মাঝে যদি ‘ইগো’ শব্দটি চলে আসে তাহলে যৌন জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি বেড়ে যায় পরকীয়ায় জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও।

দাম্পত্যে ইগোর বিষয়টি একজন নারী নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন অনেকটাই। কোন বিষয়ে স্ত্রী যদি স্বামীকে হীন করে কিছু বলেন, বিশেষ করে সেটা যদি স্বামীর শারীরিক সক্ষমতার বিষয়ে কোন কথা হয় তাহলে দাম্পত্য সম্পর্ক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

উদাহরণ হিসেবে এক দম্পতির কথা বলা হয়েছে ন্যাশন এর ফিচারে। একটি সেক্সোলজি ক্লিনিকে গিয়ে জন নামের একজন বলছিলেন তার দাম্পত্য সমস্যার কথা।

৪২ বছর বয়সী জন ৭ বছর ধরে বিবাহিত। জন এবং তার স্ত্রী তিন সন্তানের অভিভাবক। ছোট সন্তানের বয়স তিন বছর। কিন্তু গত দুই বছর ধরেই এই দম্পতির মাঝে কোনো শারীরিক ঘনিষ্ঠতা নেই। যখনই যৌন মিলনের প্রস্তুতি নেয়া হয়, তখনই জনের উত্তেজনা হারিয়ে যায়। যদিও মাঝ রাতে কিংবা দিনের অন্য সময়টাতে উত্তেজনা অনুভব করেন জন। কিন্তু তার এই সমস্যার কারণে দাম্পত্যের ঘনিষ্ঠতা একেবারেই হারিয়ে গেছে।

এরপর জন জানান, তার মাথায় ভিন্ন একটি চিন্তা আসে। তিনি অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর কথা ভাবেন। তিনি ভেবে দেখেন, অন্য নারীর সঙ্গে তিনি স্বাভাবিকভাবে যৌন কার্য করতে পারেন কিনা তা পরীক্ষা করবেন। নিজের পরিকল্পনা অনুযায়ী একাধিক নারীর সঙ্গে তিনি খুব স্বাভাবিক ভাবেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন। যদিও অনিরাপদ এসব সম্পর্কের কারণে তিনি সিফিলিস এ আক্রান্ত হয়ে পড়েন পরে।

জন চিকিৎসককে জানান তিনি স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে চান, স্বাভাবিক দাম্পত্যে ফিরতে চান। চিকিৎসক তাকে জানান, দাম্পত্য সম্পর্কে দুজনের ইগোর সমস্যা থাকলে কিংবা ব্যক্তিত্বের সংঘাত থাকলে সাধারণত সঙ্গীর সঙ্গে যৌন মিলনে সমস্যা হতে পারে। তখন পুরুষ অসহায় বোধ করেন এবং আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। সেসময় তার শরীর সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে সাড়া দেয় না। জন জানান, তার স্ত্রী এলিজাবেথ খুবই জেদি এবং তাদের মাঝে প্রায়ই তর্ক হয়। তার স্ত্রী তাকে প্রায়ই নির্বোধ, অপদার্থ, ব্যর্থ ইত্যাদি অপবাদ দিয়ে থাকেন যা তার ইগোতে আঘাত দেয়। এরপর চিকিৎসক তাদেরকে কাউন্সেলিং এর পরামর্শ দেন এবং তাদের সম্পর্ক ঠিক হয়।

সম্পর্কে ইগো জটিলতার কারণে পুরুষের ইরেকটাইল ডিসফাংশন, দ্রুত বীর্যপাত কিংবা যৌন কার্যে অনীহা দেখা দিতে পারে। মনের উপর শরীরের কার্যক্ষমতা নির্ভর করে। আর একারণেই সম্পর্কের জটিলতার প্রভাব যৌনতায় পড়ে। এ ধরণের সমস্যায় স্বামীকে সবচাইতে বেশি সহযোগিতা করতে পারেন স্ত্রী। আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্কটাকে মধুর করে তুললে স্বাভাবিক যৌন জীবন ফিরে পাওয়া সম্ভব। প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করলেও সমস্যার সমাধান পাওয়া সম্ভব। ডেইলি নেশন