চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

সকল ব্লগার, প্রকাশক এবং লেখক হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় এবং প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের ২০১৫ সালের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন। তবে আর্টিকেল নাইনটিন মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি সমর্থন করে না জানিয়ে, অপরাধীদের সাজা কমিয়ে মানবিক সাজা প্রদানের জন্য বাংলাদেশকে আহ্বান জানিয়েছে।

সম্প্রতি বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন সাজার আদেশ দিয়েছেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন।

এটি এই আদালতের দ্বিতীয় রায়। এই সপ্তাহের শুরুতে, একই আদালত ফয়সাল আরেফিন দীপনের হত্যা মামলার রায় দিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, আমরা সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পর্যবেক্ষণের সাথে একমত যে, এই হত্যার উদ্দেশ্য ছিলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা এবং ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা। যাতে কেউ তাদের মত প্রকাশ করতে না পারে। সরকার জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে, নিরাপদ পরিবেশ তৈরী করতে আরো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রায়গুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তি বাংলাদেশের একটি সাধারণ ও অতি পরিচিত ঘটনা। যেখানে বিপুল সংখ্যক অপরাধের শাস্তি হয় না। সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও শেষ না হওয়া এর বড় উদাহরণ। একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ)অধীনে দায়েরকৃত মামলায় সাংবাদিক, ব্লগার, লেখক, কার্টুনিস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করাও গুরুতর উদ্বেগের কারণ।

আর্টিকেল নাইনটিন পর্যবেক্ষণ করে জানায় যে, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে উদ্বেগজনক হারে শারীরিক নির্যাতন ধারাবাহিকভাবে ঘটে চলেছে। একই সাথে স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য আইনি হয়রানির পরিমাণ বেড়েছে।

এরই প্রেক্ষিতে সাংবাদিক, ব্লগার ও লেখকদের হত্যা ও আক্রমণকারী সকল অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন।

এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেপ্তারকৃত সকল সাংবাদিককে মুক্তি দেওয়ার এবং মত প্রকাশের অধিকার চর্চাকারীদের হয়রানি ও নির্যাতনের অবসানের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি।