কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুবি) দুই শিক্ষককে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। বন্যাদুর্গতদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ অনুদান প্রদানের নামে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টা ও শিক্ষক সমিতির মানবিক কর্মপন্থায় বাধা প্রদানের অভিযোগে তাদের এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী কামাল উদ্দিন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীকে পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ থেকে জানা যায় , গত ২০ আগস্ট শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ ও সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশব্যাপী বন্যাদুর্গতদের সাহায্যার্থে শিক্ষকদের একদিনের সমপরিমান বেতনের অর্থ অনুদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক বরারবর আবেদন করা হয়। এর বিপরীতে ১৮ সেপ্টেম্বর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও ড. দুলাল চন্দ নন্দী সমিতির সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে উপ-পরিচালক বরাবর সাদা কাগজে কয়েকজন শিক্ষকের সই জালিয়াতি করে পুনরায় আবেদন করেন।
পরে শিক্ষকদের ব্যাংক হিসাব থেকে বন্যার্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের কথা বলে কর্তৃত্বহীনভাবে ৮০ হাজার ৭১ টাকার একটি চেক কোন প্রাপক বা বাহক ছাড়া অনুমোদন করিয়ে নেয়া হয়েছে অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির গঠনতন্ত্রের১৪(খ) ধারা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে আগামী তিন কার্যদিবস সময় বেঁধে দিয়ে ড. কামাল ও ড. নন্দীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে শিক্ষক সমিতি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. কাজী কামাল উদ্দিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমি এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি। শিক্ষক সমিতি এ ধরনের কোন চিঠি দিতে পারে না।’ তবে ড. দুলাল চন্দ্র নন্দীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।