নিজেকে নির্দোষ দাবী করে, সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের এমপি আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। স্পিকারের মাধ্যমে শিগগিরই পদত্যাগ করবেন তিনি। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছেন বলেই তিনি এ কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশনের শুনানি স্থগিত করারও অনুরোধ করেছেন তিনি। তার আবেদনে সাড়া দিয়ে ২ সপ্তাহের জন্য শুনানী মুলতবী করেছে ইসি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে হজ্ব নিয়ে বির্তকিত মন্তব্য করায় মন্ত্রীত্ব এবং আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত হতে হয় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে। একই অপরাধে লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করে আওয়ামী লীগ। নিজের সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। শেষ পর্যন্ত আদালত লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদ বাতিলের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের বলেই নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা এবং ইসির পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১ টায় ইসির শুনানীতে সশরীরে হাজির হন আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিল আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলও। রুদ্ধদ্বার শুনানীর শুরুতেই লতিফ সিদ্দিকী শুনানী মুলতবী করার জন্য সিইসিকে অনুরোধ করেন। ঘোষণা দেন পদত্যাগ করার।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, যা প্রচার হয়েছে তা আমার নামে মিথ্যা প্রচার হয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে একটু বিলম্বে আমি অবগত হয়েছি। আমার নেতা চাননা যে আমি এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করি। আমার কাছে মূল্যবান হলো জনগণের ভালোবাসা, নেতার আস্থা ও আনুগত্য। যেহেতু আমি অনুগত তাই আমি কমিশনকে বলেছি আজকের এই শুনানি মুলতবী করা হোক। মাননীয় স্পিকার বরাবর আমি আমার পদত্যাগপত্র পৌঁছে দেব।
মাত্র ২০ মিনিটেই শুনানী শেষ হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশন বলছে ২ সপ্তাহের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী যদি পদত্যাগ করেন তাহলেও ৬ সেপ্টেম্বর শুনানী অনুষ্ঠিত করবে ইসি।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, উনি বলেছেন উনি রিজাইন করবেন সেজন্য তাকে একটা সময় দেওয়া হোক। স্বাভাবিকভাবে ১২০ দিনের মধ্যে শেষ করার জন্য আইন নির্দিষ্টভাবে আমাদের ব্যবস্থা আছে। আমরা সময় দিয়েছি।
দেশ এবং দলের কারণে পদত্যাগ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর।