সংরক্ষিত বন হিসেবে ১০০ বছর পার করেছে মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া। উদ্ভিদ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য এ বনের খ্যাতি থাকলেও নানা প্রতিকূলতায় অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণী হারিয়ে যাচ্ছে। বনের মধ্যে রেল ও সড়ক পথ থাকায় যানবাহনের শব্দে হুমকির মুখে পড়েছে বিপন্নপ্রায় অনেক প্রাণী। নতুন করে বনায়ন ও ইকোট্যুরিজম বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন পর্যটকরা।
মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়াকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘোষণা করা হয় ১৯১৭ সালে। বর্তমানে ১ হাজার ২৫০ হেক্টরের এই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। সংরক্ষিত এই বনের ভেতর দিয়ে গেছে রেল লাইন, পাকা সড়ক ও খোলা বৈদ্যুতিক লাইন। ট্রেন ছাড়াও অন্য যানবাহনের শব্দ ও পর্যটকদের হৈ-হুলোড়ে বন্যপ্রাণীর জন্য বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে বনটি।
বন বিভাগের হিসেবে, এখানে ১৬৭ প্রজাতির বৃক্ষ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ীসহ অসংখ্য বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির প্রাণীর বাস। কিন্তু পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এদের অবাধ বিচরণের কারণে এখন আর সহজে দেখা মেলেনা এসব প্রাণীর। খোদ পর্যটকরাই দাবি তুলছেন, তাদের অবাধ বিচরণ নিয়ন্ত্রণ করে উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য উপযোগী আবাস সৃষ্টির।
শতবর্ষী এ সংরক্ষিত এ বনের উন্নয়নে নানা পরিকল্পনার কথা বলছেন বন কর্মকর্তারা। পাশপাশি বন্যপ্রাণীর খাবার পানি সংকট সমাধানে জলাধার ও লেক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে:
https://youtu.be/Wd5kcUFbWgk