দুই পেরিয়ে বৃহস্পতিবার তিন বছরে পা দিয়েছে চ্যানেল আই অনলাইন। এমনদিনে প্রবাসী ক্রীড়া বিশ্লেষক ফরহাদ টিটো পাঠকপ্রিয় এই পোর্টালটির প্রশংসা করার পাশাপাশি শুভকামনা জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, সংবাদ ও সাংবাদিকতার গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হিসেবে চ্যানেল আই অনলাইন এখন প্রমাণিত।
ফরহাদ টিটো ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ওয়েব পোর্টাল চ্যানেল আই অনলাইন জন্মের তৃতীয় বছরে ঢুকল। দুই বছর শেষ, তিন বছর শুরুর অভিনন্দনটা পরেই দেই।’
‘এরই মধ্যে সুযোগ্যতায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া এই অনলাইন মিডিয়ার সঙ্গে আমার একটা অদৃশ্য সম্পর্ক আছে। সম্পর্কটা অনেকটা আত্মীয়তার মতো।’
‘দুই বছর আগে প্রথম যখন পাঠকের সামনে আসে চ্যানেল আই টেলিভিশনের এই অন্তরপ্রতিষ্ঠান, তখন থেকেই আমাকে টেনে ধরেছিলেন প্রিয় জাহিদ নেওয়াজ খান। যিনি এই অনলাইনের সম্পাদক, অধিনায়ক, মেন্টর সবকিছু। একজন উঁচুমানের সাংবাদিক হয়ে বাকি সবগুলো ক্ষেত্রেই একই মান ধরে রাখা খুব কঠিন কাজ। জাহিদ নেওয়াজ তা পেরেছেন, পারছেন। তার প্রতিভায় আর পরিশ্রমে। এজন্যে তাকে ব্যক্তিগতভাবে অভিনন্দনটা আগেই জানিয়ে রাখলাম।’
‘ঐ যে বলছিলাম না, জাহিদ আমাকে টেনে ধরেছিলেন…সেটা কিভাবে?’
টিটো উত্তরে লিখেছেন, ‘লিখতে হবে এবং লিখতেই হবে। গুণী আর অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের অনুরোধ-আবদার উপেক্ষা করার দুঃসাহস, অভিলাষ কোনওটাই আমার ছিলনা। এখনও নাই। তাই খেলা নিয়ে, দেশের ক্রিকেট বা ক্রিকেটারদের বিশেষ আলোচিত কোনও ঘটনা নিয়ে অনেকবারই লিখেছি প্রথম দিকে। শুধু যে অনুরোধে তাই না, কখনও লিখেছি নিজের থেকেই। অন্য অনেক মিডিয়া যখন লেখা চেয়ে বসেছে তখন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের জন্যই লিখতে বসে গেছি। তাও আবার ওরা লেখা চাইবার আগেই। এটা সম্ভব ছিল আরেকটা কারণেও। ফেইসবুকে তখনও বেশ আনাড়ি আর বড় লেখা লিখতে অনভ্যস্ত আমি।’
‘এখন যখন যা দরকার মনে করি ফেইসবুকেই লিখে ফেলি মনপ্রাণ ঢেলে। এখান থেকেই কখনও কখনও লেখা নিয়ে নেয় চ্যানেল আই অনলাইন। জুড়ে দেয় তাদের জনপ্রিয় সোশাল সেলেব্রিটি/সমাজ কথন কলামে। প্রতিদিন বা নিয়মিত বাংলা পত্রিকা বা পোর্টাল পড়া হয় না বলে অনেক সময় জানতেই পারি না আমার ফেইসবুকের একটা লেখা ওখানে কোট অথবা আপলোড করা হয়েছে।’
‘পরে জানতে পারি বন্ধু বা কোনও শুভাকাঙ্ক্ষীর মাধ্যমে। তাতে অবাক হই না, দুঃখও পাইনা। ওদের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা এমনই। বললেই কী আর না বললেই কী!’
‘এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা আরেকজন খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তওফিক আহমেদ। আমার আরেক পছন্দের মানুষ। বহুমুখী প্রতিভার এই স্নেহভাজনেরও অবদান স্পষ্ট এই অনলাইনের উন্নয়নে। আরও যারা আছেন বিভিন্ন সেক্টরে তারা সবাই কমবেশি আমার পছন্দের। আমিও হয়ত তাদের। এডিটিং, সাব-এডিটিং থেকে ধরে রিপোর্টিং ইউনিটের অনেকেই আমার সঙ্গে ফেইসবুকে আছেন। কেউ কেউ যোগাযোগও রাখেন নিয়মিত। সম্প্রতি ওদের স্পোর্টস টিমটাও বেশ শক্তিশালী হয়েছে নতুন রিক্রুটমেন্টের কারণে। স্নেহভাজন মেহেদী, শুভ-রা শক্ত হাতেই হাল ধরেছেন। তাদের অনেক আগে থেকে কাজ করা আরেফিন তানজীব ভালো কাজ করতে চাইতেন খেলা নিয়ে নেশা আর পেশার ঝোঁকে। এখনও হয়তো তাই, ভিন্ন দায়িত্বে। জেনারেলে আহসান কামরুল প্রতিভাবান, বিপ্লবী টাইপ। তার চিন্তা-চেতনায় স্বচ্ছতার কমতি নাই। আবদুল্লাহ আল শাফি এডিটিংয়ে থাকলেও লেখার হাত চমৎকার তার।’
‘সব কিছু মিলিয়ে, আমার চোখে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে চ্যানেল আই অনলাইন, দুই বছর আগে যেখানটায় ছিলো সেখান থেকে। নিজেদেরকে প্রমাণও করতে পেরেছে সংবাদ ও সাংবাদিকতার গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হিসেবে। পাঠকপ্রিয়তায় তারা হয়ত বাংলা পোর্টালের সিরিয়ালে এক বা দুইতে নেই কিন্তু তাতে কী! ঠিক পথে চলতে থাকলে শীর্ষে পৌঁছা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
এবার তাহলে শুভেচ্ছাটা জানিয়েই দেই দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির। চ্যানেল আই অনলাইনের আরও উন্নতি হোক এই বছর… এই প্রত্যাশায় থাকলাম।’