মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ থেকে প্রিয়া সাহাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য প্রিয়া সাহাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছি। তাকে সব সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনতিবিলম্বে কার্যকর হবে।
২৪ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রিয়া সাহা বিষয়ে তাদের অবস্থানও পরিষ্কার করা হবে বলেও জানান রানা দাশগুপ্ত।
তিনি আরও বলেন, এ সিদ্ধান্ত তো নেয়া হয়েছে সাময়িক। এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে হলে তাকে শোকজ ছাড়া এবং আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়া সম্ভব নয়। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রের অনুকূলেই করেছি।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আয়োজিত ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে যাওয়া বিভিন্ন দেশের অন্তত ২৭ জন প্রতিনিধিকে গত বুধবার তার ওভাল অফিসে ডেকে পাঠান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রিয়া সাহা।
সে সম্মেলনে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে প্রিয়া সাহা ট্রাম্পকে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ‘নিখোঁজ’ হয়ে গেছে। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনো বাংলাদেশে এক কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ছাড়তে চাই না। শুধু আমাদের বাংলাদেশে থাকতে সাহায্য করুন। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি।’
এ সময় ট্রাম্প জানতে চান, ‘কারা জমি দখল করেছে? কারা বাড়ি দখল করেছে?’ জবাবে ওই নারী বলেন, ‘মুসলিম মৌলবাদী গ্রুপ এগুলো করছে। তারা সব সময় রাজনৈতিক ছত্রছায়া পায়।’