‘সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই শুধুমাত্র হরিণ হত্যার দায়ে কুড়ি বছর আগের করা মামলায় সাজা প্রাপ্ত হয়েছেন বলিউডের সুপারস্টার সালমান খান।’ এমন অভিযোগই করলেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ।
জিও টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমানের কারাভোগ নিয়ে ধর্মীয় ইস্যু টেনে আরো মন্তব্য করে বলেন: সালমান খান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণেই এমন শাস্তির সম্মুখিন হলেন। কুড়ি বছর আগের পুরনো মামলায় শাস্তি ভোগ করার বিষয়টি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো, ভারতে মুসলিম, অস্পৃশ্য ও খ্রিস্টানদের জীবনের মূল্য নেই।’
এমনকি তিনি মোদির বিজেপির দিকে ইঙ্গিত দিয়ে আরো বলেন: সালমান যদি ভারতের শাসক দলের ধর্মে বিশ্বাসী হতেন তাহলে তাকে এই ধরণের কঠোর শাস্তি দেয়া হতো না। আদালত হয়তো তাকে ক্ষমা করে দিত।
বহুদিন ধরেই চলছিলো সালমানের বিরুদ্ধে এই কৃষ্ণসার হত্যা মামলাটি। একই মামলায় আসামি ছিলেন সাইফ আলী খান, সোনালী বিন্দ্রে, টাবু ও নিলম কুঠরী। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। কিন্তু হরিণ হত্যার দায়ে ফেঁসে গেলেন সালমান। যোধপুর আদালতের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার ৫ বছরের কারাদণ্ড পেয়েছেন ভারতের তুমুল জনপ্রিয় এই নায়ক। তার জামিন শুনানির কথা রয়েছে আগামি ৭ এপ্রিল শনিবার।