জন্মদিন। মানে আরও একটু বড় হয়ে যাওয়া। নতুন করে জীবনের মোড় নেয়া। জীবন যুদ্ধে আরও এক নতুন অধ্যায়। লিওনেল মেসির জীবনে আরও একটি নতুন দিন। তবে এবারের দিনটা একটু ভিন্ন। ৩১তম জন্মদিনটা যে এক মহাসংকটের মধ্যদিয়ে কাটাতে হচ্ছে মহানায়ককে।
জন্মদিনে এবার অবশ্য আনন্দ উল্লাস নেই মেসি ও তার দলের। সংকটের জন্মদিনেও একটাই কাজ তাদের, নাইজেরিয়া জয়ের শপথ।
১৯৮৭ সালের ২৪ জুন রোজারিওতে জন্মগ্রহণ করেন মেসি। ৩০টি বছর পাড়ি দেয়ার পর সত্যিই জীবনের এক নতুন বাঁকে দাঁড়িয়ে তিনি। বিশ্বকাপের দুই ম্যাচ পর প্রায় নিঃস্ব।এমন জন্মদিন তিনি চাননি। চায়নি তার পরিবার, দল ও সমর্থকরাও।
মা-স্ত্রী সন্তান সবাই তার পাশে রয়েছেন। কিন্তু মেসি…? তার মন খারাপ। বিষণ্ন নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে। দেশকে তিনি খুশি করতে পারছেন না। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে পারছেন না। উল্টো ব্যর্থতা সম্বল করেই খালি হাতে মাঠ ছাড়ছেন।
এখন চারদিকে একটাই প্রশ্ন মেসি কি হেরে যাচ্ছেন ? নায়ক হার স্বীকার করে নিচ্ছেন? এমন চিত্র দেখতে চায় না বিশ্ব ফুটবল। চায় মেসি ফিরে আসুক। লিও জন্মদিনেই ফিরে আসার শপথ নিক আর্জেন্টিনা।
ম্যারাডোনা থেকে মারিও কেম্পেস, বিলার্দো থেকে বরুচাগা- সবাই বলছেন, মেসি ঘুরে দাঁড়াবেন। সবাই যখন নিজেদের কথা বলছেন, মেসির চোখে তখন শুধুই নাইজেরিয়া। জিতেই জন্মদিনের কেক কাটতে চান তিনি। কিন্তু ভক্তদের কাছে আজই শুভ জন্মদিন, মেসি।
চরম চাপে থাকা মেসি শনিবারও অনুশীলনে ঘাম ঝরিয়েছেন। একই রকমভাবে অনুশীলন করেছে পুরো দল। পদত্যাগ-ছাটাইয়ের গুঞ্জন উঠলেও অনুশীলনে আগের চেয়ে বেশি সিরিয়াস দেখা গেছে কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকে। তারা সবাই জানেন, সব সমালোচনা আর গুঞ্জন বন্ধ করার একটাই রাস্তা, জয়।