চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ষোড়শ সংশোধনী বাতিল স্থগিত চেয়ে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রোববার চেম্বার জজের কাছে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।

আগামী রোববার ওই রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে চেম্বার বিচারপতির কাছে আবেদন করা হবে বলেও জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

রায়ের বিরোধিতার কারণ ব্যাখ্যা করে মাহবুবে আলম বলেন, ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের বিষয়টি সংবিধানে উল্লেখ ছিল। কিন্তু পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সামরিক সরকার বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাত থেকে নিয়ে জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে দেয়। যেহেতু সামরিক শাসনামলকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন সেহেতু তাদের কার্যক্রমও অবৈধ। তাই বিচারপতিদের অপসারণে সামরিক সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেটিও অবৈধ।

রায়ের সার্টিফায়েড কপিও সংগ্রহ করা হয়েছে এবং উচ্চ আদালতে আপিলের বিষয়ে নিজেদের পরিস্কার অবস্থানের কথা জানান অ্যাটর্নি জেনারেল।

বৃহস্পতিবার সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট।  হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকছে না।  বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে রায় ঘোষণা করেন।

সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবীর করা একটি রিট আবেদনে দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করা হয়।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯৭২ সালের সংবিধানেও তা সংসদের হাতেই ছিল।

কিন্তু ১৯৭৫ সালে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির হাতে দেওয়া হয়।

এর মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ‘বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বিচারক তদন্ত আইন ২০১৬’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এই আইনের খসড়ায় বিচারপতিদের অপসারণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে।