২০১৩ সালে আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন ভারতের পেসার শান্তকুমারান শ্রীশান্ত। দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ক্রিকেট থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে দেশটির এই পেসারকে নির্বাসন থেকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেরালা হাইকোর্ট।
রায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন শ্রীশান্ত। ২০১৫’র জুলাইয়ে প্রমাণের অভাবে তাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ওইদিনই জানিয়ে দেয়, শ্রীশান্তসহ অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চৌহানের উপর থেকে নির্বাসন তোলা হচ্ছে না।
তবে হাল ছাড়েননি শ্রীশান্ত। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে চলতি বছরের মার্চে তিনি কেরালা হাইকোর্টে আবেদন করেন।
মামলা চলাকালীন বোর্ডের পক্ষ থেকে গত এপ্রিলে আদালতকে জানানো হয়, কোনও সংস্থার অভ্যন্তরীণ আইনে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির শাস্তি ফৌজদারি মামলার সঙ্গে যুক্ত নয়। বোর্ডের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি শ্রীশান্তকে যে শাস্তি দিয়েছিল, তার সঙ্গে আদালতের মামলার কোনও সাদৃশ্য নেই।
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর কেরালা হাইকোর্ট সোমবার বিসিসিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন শ্রীশান্তের নির্বাসন তুলে নেয়ার। কেরালা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু এনিয়ে ভারতীয় বোর্ড এখনও নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়নি।
২০১৩ সালে দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল শ্রীশান্তসহ অজিত চান্ডিলা ও অঙ্কিত চৌহানকে। ওই বছরই জুন মাসে বোর্ড সভাপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে। কিন্তু শ্রীশান্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনও সুযোগ দেয়া হয়নি বলেই কেরালা হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে। শ্রীশান্ত পুরো বিষয়টি চিঠিতে জানান বোর্ডকে। তার ভিত্তিতেই বিসিসিআই নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নেয়।