প্রথমে ব্যাট করে ৩২২ রানের বড় সংগ্রহ জমিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’। সেটা তাড়া করতে গিয়ে ১৩০ রানেই ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দল। পরে বৃষ্টি এসে খেলা থামিয়ে দিলেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি টাইগারদের। বৃষ্টি আইনে ৯৮ রানের বড় ব্যবধানে জিতে ম্যাচের সঙ্গে দখলে নিয়েছে সিরিজও।
শ্রীলঙ্কায় তিন অনানুষ্ঠানিক ওয়ানডের সিরিজে প্রথমটি হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা দুই জয়ে সিরিজ বগলদাবা করল মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে সাইফ হাসানের সেঞ্চুরিতে বড় রান পায় সফরকারীরা। সাইফের উদ্বোধনী সঙ্গী নাঈম শেখ, দুজনে যোগ করেন ১২০ রান।
বাঁহাতি ওপেনার নাঈম ৭৬ বলে ৬৬ করে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট হন!
তার পরপরই সাজঘরে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও এনামুল হক। পুরো সফরজুড়ে ব্যর্থ শান্ত এদিন করেছেন মাত্র ২ রান। আর এনামুল করতে পেরেছেন ১৫ রান।
১৫৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক মিঠুনের সঙ্গে ৯৯ রানের জুটি গড়েন সাইফ। তুলে নেন সেঞ্চুরি। ১১০ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কা হাঁকানোর পর শিরান ফার্নান্দোর বলে আউট হন প্রিয়ঞ্জনকে ক্যাচ দিয়ে।
সাইফের পর মিঠুন ৩২ করে আউট হলে কমে যায় রানের গতি। শেষ পর্যন্ত পুরো ৫০ ওভার খেলে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৩২২ রানে, ৯ উইকেট হারিয়ে।
বোলিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই পাথুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন আফিফ হোসেন। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে লঙ্কানরা।
বাংলাদেশের পথে বাধা হয়েছিলেন কামিন্ডু মেন্ডিস। ৬৫ বলে ৫৫ করা মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সেই বাধা দূর করেন পেসার ইবাদত হোসেন।
মেন্ডিস ফেরার পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। এরপর আর ম্যাচই শুরু হয়নি। তখন ২৪.৪ ওভারে ৬ উইকেটে স্বাগতিকদের নামের পাশে ১৩০ রান। পরে বৃষ্টি আইনে জয়ী ঘোষণা করা হয় বাংলাদেশকে।