চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পথে গোতাভায়া রাজাপাকসে

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পথে এগিয়ে রয়েছেন পদুজানা পেরামুনা দল থেকে মনোনীত মাহিন্দা রাজাপাকসের ভাই গোতাভায়া রাজাপাকসে।

এখনও পর্যন্ত ফলাফল অনুযায়ী সিংহলি,বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকার বেশিরভাগ আসনে জয়ী হয়েছেন ৭০ বছর বয়সী সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট কর্নেল গোতাভায়া।

তারপরই রয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রয়াত সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাসিংহে প্রেমাদাসার ছেলে সাজিথ প্রেমাদাসা। তবে এখনও শ্রীলঙ্কায় ভোট গণনা বাকি রয়েছে। রোববার রাত ১১টা নাগাদ নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে শনিবার নির্বাচনকে ঘিরে শ্রীলঙ্কার কিছু এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে।

নির্বাচনে মোট ৩৫ জন প্রার্থী থাকলেও প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছেন মূলত দু’জন প্রার্থী৷

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী সিংহল গোষ্ঠীর কাছে বেশ জনপ্রিয় গোতাভায়া রাজাপাকসে৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের ছোট ভাই গোতাভায়া রাজাপাকসে ২০০৯ সালে তামিল বিদ্রোহীদের দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন৷

গত এপ্রিলের বোমা হামলার পর সংখ্যাগরিষ্ঠ সিংহল গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রেসিডেন্ট হিসেবে এমন একজনকে দেখতে চাইছেন যিনি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়ে কৌশলগত সমাধান দিতে পারবেন৷

নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সিংহল গোষ্ঠীর প্রথম পছন্দ গোতাভায়া রাজাপাকসে, ডয়চে ভেলেকে এমনটাই বলেছেন হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং শ্রীলংকার ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. হারশানা রাম্বুকএয়েলা৷

‘তবে তার বিরুদ্ধে গুম, খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগও রয়েছে, যেটি প্রতিযোগিতায় তাকে কিছুটা পেছনে ফেলতে পারে’, বলেন ড. হারশানা।

অন্যদিকে সজিত প্রেমাদাসা দারিদ্র দূরীকরণসহ উন্নয়নমূখী প্রকল্পের জন্য ভোটারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় বলে জানা গেছে৷ বর্তমান সরকারের গৃহায়ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনরত প্রেমাদাসা তার রাজনৈতিক ইশতেহারে দারিদ্র বিমোচনের বিষয়াদিকে বেশি গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট হতে হলে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভোট পাওয়াটাও জরুরি৷

এপ্রিলের বোমা হামলার পর এ দুই সম্প্রদায়ে মধ্যে এক ধরনের অবিশ্বাস জন্ম নিয়েছে আর যে কারণে এ সংখ্যালঘুরা মূলত কোন প্রার্থীর উপর রাজনৈতিক আস্থা রাখবে সে বিষয়টি অনুমান করা যাচ্ছে না৷

ভৌগলিকভাবে শ্রীলংকা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকায় দির্ঘদিন ধরেই নয়াদিল্লি ও বেইজিং কলম্বোতে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্তিশালী করার প্রতিযোগিতা লিপ্ত রয়েছে।

২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাহিন্দা রাজাপাকসের শাসনামলে শ্রীলংকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খাতে চীনের সরব উপস্থিতি দেখা গেছে৷ তবে ২০১৫ সালে মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ক্ষমতায় আসার পর এ সম্পর্কে ভাটা পড়তে দেখা গেছে৷

গোতাভায়া রাজাপাকসে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি ক্ষমতায় আসলে বেইজিংয়ের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করবেন৷