ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট প্রশাসন এবং খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে আইসিসি।
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ক্রিকেটের সততা ধরে রাখতে আইসিসি সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। যেখানে সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে সেখানে কাজ করতে হবে।’
মার্শাল জানিয়েছেন, তারা লঙ্কান ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
চলমান তদন্ত নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ইংল্যান্ডের সাবেক এই নাম করা পুলিশ কর্মকর্তা।
আইসিসি তদন্তে নামার আগে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা থেকে চুক্তিবদ্ধ ৪০জন খেলোয়াড়কে স্বাধীন তদন্তের বিষয়ে অবহিত করা হয়। সম্প্রতি দেশটির একটি টিভি চ্যানেলে সাবেক ক্রিকেটার এবং নির্বাচক প্রমদ্য ঋক্মসিংহে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট নিয়ে বড় ধরনের অভিযোগ তোলেন। তার দাবি, শ্রীলঙ্কার বাজে খেলার পেছনে বোর্ডের বর্তমান কর্মকর্তারা দায়ী। শুধু তাই নয় খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কয়েকটি ম্যাচকে তিনি ‘অস্বাভাবিক ধরনের’ বলেছেন।
সাবেক এই বোর্ড কর্তার অভিযোগকে ‘অপমানজনক এবং বেদনাদায়ক’ বলে বিবৃতি দিয়েছে ক্রিকেট শ্রীলঙ্কা।
বিবৃতিতে বলা হয় খেলোয়াড়রা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন মন্তব্য করে বলেছেন, ‘আমরা দুইশ ভাগ কমিটমেন্ট দিয়ে আমাদের মাতৃভূমির জন্য খেলি।’
শ্রীলঙ্কা সম্প্রতি দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে ৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচেই হেরেছে। ভারত সফরের আগে থেকেই ছন্দে নেই দেশটি। সম্প্রতি নির্বাচক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন জয়সুরিয়ারা। এরপর কিছুদিন আগে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ বেশ পুরনো। নতুন কমিটি গঠনের দিনও দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।
জুলাই মাসে লঙ্কান কিংবদন্তি অর্জুনা রানাতুঙ্গা ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ওই সময় তিনি দলের সঙ্গে ভারতে ছিলেন। ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে যায় শ্রীলঙ্কা।
দেশটি যে দল নিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারায় সেই দল থেকে চারজনকে বাদ দিয়ে ফাইনালের দল ঘোষণা করা হয়! বিষয়টি নিয়ে দেশে ফিরে সন্দেহ প্রকাশ করেন রানাতুঙ্গা। কিন্তু এতদিন কোনও তদন্ত হয়নি। এবার যখন সেটা শুরু হলো, তখন ফলাফল কী হয় সেটা দেখতে নিশ্চয়ই মুখিয়ে থাকবে ক্রিকেটবিশ্ব।