২৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে এগারটা নাগাদ আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেছেন শ্রীদেবী। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তিনি। এর আগে তার হার্টের কোনো সমস্যা ছিল না বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। আর সেজন্যই তার হঠাৎ এই চলে যাওয়াকে অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। দোষারোপ করা হচ্ছে সৌন্দর্য ধরে রাখার ওষুধ এবং অসংখ্যবার প্লাস্টিক সার্জারিকে।
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হুট করেই হতে পারে। আগে থেকে কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। হৃদপিণ্ডে ইলেক্ট্রিক্যাল ম্যালফাংশন এর কারণে হার্ট বিট অনিয়মিত হয়ে যায়। হৃদপিণ্ড তখন মস্তিষ্ক, ফুসফুস এবং অন্যান্য অঙ্গে রক্ত পাম্প করতে পারেনা। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি জ্ঞান হারায় এবং মৃত্যুবরণ করতে পারে।
শোনা গিয়েছিল শ্রীদেবী তার যৌবন ধরে রাখতে অনেকবার ছুরি-কাঁচির আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও বোটক্স ট্রিটমেন্ট, লিপ-জব, সিলিকন ব্রেস্ট কারেকশন, ফেস লিফট সহ আরও অনেককিছুই করেছেন। এছাড়াও তিনি ফিগার ধরে রাখার জন্য ক্রাশ ডায়েটে থাকতেন বেশিরভাগ সময়। শ্রীদেবীর অতিরিক্ত রূপ সচেতনতাই তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, এমনটা ভাবছেন ভক্তরাও। সামাজিক মাধ্যম টুইটারেও প্রচুর টুইট হচ্ছে এই বিষয়ে।
মুখের মাংসপেশির কোঁচকানো ভাব দূর করার ওষুধ বোটক্স ব্যবহার করলে বিশেষ করে ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের মহিলাদের আকস্মিক মৃত্যু হওয়ার রিপোর্ট রয়েছে। এছাড়াও এই ধরনের কৃত্রিম পদ্ধতিগুলো শরীরের স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃদপিণ্ড দুর্বল হয়ে যায় এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও মানসিক অবসাদের কিছু ওষুধ যেমন সিটালোপ্রাম বেশি মাত্রায় খেলে হার্টের ব্লক ঘটতে পারে। ডেইলিও