চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের লাইব্রেরীকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফিতা কেটে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন করেন।

এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু বাঙালির জন্য আজীবন ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন বলেই আজ আপনি-আমি সবাই এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধু আকাশের মতো উদার হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকীর এ মাসে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতির পিতা শুধু দেশীয় বিপদগামী কিছু সেনা আর কিছু বেঈমানের ষড়যন্ত্রের শিকার হননি, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরও শিকার হয়েছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনো প্রকার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে সব ধরনের ষড়যন্ত্র ভেদ করে শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে। প্রতিমন্ত্রী প্রতি কর্ম দিবসে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পযর্ন্ত লাইব্রেরী খোলা রাখার নির্দেশ দেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী ১৫ আগস্ট সব শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং কারাগারের রোজনামচা পড়তে হবে। জাতির পিতার জীবনী পড়লে আপনারা জানতে পারবেন বঙ্গবন্ধু সারা জীবন কত কষ্ট করেছেন। কত ত্যাগ স্বীকার করে এ জাতির মুক্তি এনে দিয়েছেন। তিনি ১৫ আগষ্টের হত্যাকাণ্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে নিমর্ম এবং নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেন।

পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৫ আগষ্টে শাহাদতবরণকারী সব শহিদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।