তৈরি পোশাক কারখানা মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, দুই পক্ষের ৫ জন করে সদস্য নিয়ে কমিটি গঠন করে আগামী এক মাসের মধ্যে সব কিছুর সমাধান করা হবে।
আন্দোলনের নামে যারা ধ্বংসাত্মক কাজ করছেন, তারা এই খাতের বন্ধু নয়। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি
মঙ্গলবার বিকেলে শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে মুন্নুজান সুফিয়ান জানান, বেতন কমবে না। শ্রমিকদের যে যে গ্রেডে সমস্যা তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে সমাধান করা হবে।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, চলতি মাসের মধ্যে সমন্বয় করে ঘাটতি মজুরী দেওয়া হবে। বেসিক বা গ্রস হোক মজুরী কমবে না।
গত তিনদিন ধরে রাজধানীর উত্তরা আবদুল্লাহপুর ও আজমপুরে কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার সকালেও মিরপুরের কালশীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ছুঁড়ে পুলিশ।
শ্রমিকদের অভিযোগ, নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে তারা মূল সড়কে অবস্থান নিয়েছে। সরকার নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করলেও মালিকপক্ষ তা দিচ্ছে না।