শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলা আশুলিয়ার ৫৫টি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকেরা।
মঙ্গলবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান পোশাক মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজেএমই-এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
বাংলাদেশ শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী এসব কারখানা বন্ধ করা হয়। এর ফলে কারখানা বন্ধ থাকার সময়ে শ্রমিকরা কোনো বেতন-ভাতা পাবেন না।
এর আগে, বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আশুলিয়ার বেশ কিছু কারখানা চতুর্থ দিনের মতো কর্মবিরতি চলছিল।
কারখানা মালিকরা বলছেন, সকালে শ্রমিকরা কারখানায় এলেও কাজে যোগ না দিয়ে চলে যায়।
বিজিএমইএ সভাপতি জানান, বেআইনি কর্মবিরতি চললে তারা শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন।
দেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় রাজধানীর কাছে আশুলিয়ায়। কয়েকদিন ধরে সেখানকার প্রায় ৪০টি কারখানার শ্রমিকরা বেতনভাতা বাড়ানোর দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। তারা সকালে কারখানায় এসে হাজিরা খাতায় নাম লিখে বেরিয়ে যাচ্ছেন।
সমস্যা সমাধানে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ নৌ-পরিবহন মন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
বিজিএমইএ-এর সভাপতির দাবি, হঠাৎ করে এমন কর্মবিরতির কোনো যৌক্তিকতা নেই। ২০১৩ সালে নুন্যতম মজুরি কার্যকর হওয়ার পাঁচ বছর হওয়ার আগে আইনগতভাবে নতুন মজুরি ঠিক করার কোনো সুযোগ নেই।
ন্যুনতম মজুরি বাড়ানোর পাশাপাশি নানা অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, কোনো কারণে ছাঁটাই হলে নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্য পরিশোধ এবং ছুটিকালীন বেতন বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ওই এলাকার তৈরি পোশাক শ্রমিকরা।