কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আগামী ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে পোশাকসহ সব ধরনের কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করার নির্দেশনা দিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
একই সঙ্গে কারখানা পর্যায়ে মালিক-শ্রমিক সমন্বয় করে ঈদের ছুটি নির্ধারণ এবং সরকারি ছুটির সঙ্গে বদলি ছুটি পাওনা থাকলে সেটিও আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বয় করতে বলেছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শ্রম ভবনে আরএমজি (তৈরি পোশাক) বিষয়ক মালিক-শ্রমিক ও সরকার ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে মালিক প্রতিনিধিগণ জানিয়েছেন প্রায় শতভাগ কারখানা তাদের শ্রমিকদের গত জুন মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। আর ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বোনাসসহ চলতি মাসের বেতন বোনাস ও সব পাওনাসহ পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আরএমজিসহ সব খাতের শিল্প মালিক ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে বলব-সর্বসম্মত এই সিদ্ধান্ত মেনে আপনারা শ্রমিকদের পাওনা যথাসময়ের মধ্যে পরিশোধ করবেন।
প্রতিমন্ত্রী জানান, শ্রমিকের ঈদের ছুটি নির্ধারণ হবে কারখানা পর্যায়ে মালিক-শ্রমিক সমন্বয় করে। এক্ষেত্রে সরকারি ছুটির সঙ্গে কারো বদলি ছুটি পাওনা থাকলে সেটিও আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বয় করতে হবে।
এছাড়া ফ্রন্ট লাইনার হওয়ায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে ৩৫ বছরের কম বয়সী শ্রমিকদের করোনারোধী টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
মুন্নুজান সুফিয়ান জানান, ঈদে মানুষের যাতায়াত, কোরবানির পশু কেনাবেচা নির্বিঘ্ন করতেই আগামী ১৫ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পযর্ন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার। তবে এই সময়ে গাদাগাদি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি শ্রমিকদের চলাচল না করারও পরামর্শ দিয়েছেন।
বৈঠকে সংসদ সদস্য শাহজাহান খান, শ্রম সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সহসভাপতি মো. নাছির উদ্দিন, বিকেএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি, নাজমা আক্তার প্রমুখ।