চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

শ্যামলীর রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা

বিজিএমইএ ও কারখানা মালিকের আশ্বাস

পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও গার্মেন্টস মালিকের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিয়ে শ্যামলীর রাস্তা থেকে সরে গেছে পোশাক শ্রমিকরা। ফলে রাস্তায় যানজট কমে এখন স্বাভাবিকভাবে যান চলাচল করছে।

রাস্তা থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান।

এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বলেন, আলিফ গ্রুপের ৩টি গার্মেন্টস হঠাৎ করে বন্ধ পেয়ে রাস্তায় নামেন শ্রমিকরা। তারা বিজিএমইএ ভবনে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে তারা সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল।

আনিসুর রহমান বলেন, সড়ক ছেড়ে দিয়ে শ্রমিকদের আলিফ গার্মেন্টসের নিচে অবস্থান করতে বলেছি। এরপর মালিক পক্ষ, বিজিএমইএর প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ফলে সড়কে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বন্ধ করে দেয়া আলিফ গার্মেন্টসের সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, সড়ক ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে শ্রমিকদের। মালুক পক্ষ গার্মেন্টস না চালালেও শ্রম আইন অনুযায়ী যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তা দেওয়ার চিন্তা চলছে।

এর আগে বিনা নোটিশে আলিফ অ্যাপারেলস ১, ২ ও আলিফ গার্মেন্টস নামের ৩ টি পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে শ্যামলী বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল শ্রমিকরা।

বন্ধ করে দেয়া কারখানার বিক্ষুব্ধ শ্রমিক জাহানারা বেগম বলেন, শ্রমিকদের না জানিয়ে গার্মেন্ট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমাদের অন্তত একবার জানাতে পারতো। আমরা বেতন পাইনি, গার্মেন্টের গেটের সামনে ২ ঘণ্টা ধরে বসা। কেউ কোন কথা বলে না। তাই আমরা রাস্তায় অবস্থান নিয়েছি।

শ্রমিকরা জানায়, ঈদের ছুটির পর বুধবার আলিফ অ্যাপেয়ারেলস ১, ২ ও আলিফ গার্মেন্টস নামের এ ৩টি কারখানা খোলার কথা ছিল। সে অনুযায়ী তারা কারখানায় কাজ করতে এসেছিল। এসে দেখে মূল ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝোলানো রয়েছে।

আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, গার্মেন্টস বন্ধ করতে হলে ৩ মাসের বেতন দিয়ে বন্ধ করতে হয়। তাই তাদের ৩ মাসের বেতনের দাবিতে আন্দোলন করা হচ্ছে।

তাদের অভিযোগ, বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই আলিফ অ্যাপারেলস গার্মেন্ট বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এরপর তারা বিক্ষোভ করেন। এক পযার্য়ে বিক্ষোভ সড়কে ছড়িয়ে পড়লে সেখানে তারা অবরোধ করেন। সকাল সাড়ে সাতটায় শ্যামলী বাস টার্মিনাল এলাকায় তারা রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে শ্রমিকরা চলে যায়। এরপর আবার সাড়ে নয়টা থেকে সড়কে অবস্থান নেয় তারা। ফলশ্রুতিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কারখানা খুলে না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। এতে ভোগান্তিতে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। পরে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে সমাধানের আশ্বাসে পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।