বিপিএলে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম জয় পেলো চিটাগং ভাইকিংস। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে সিলেট সুপার স্টারসকে এক রানে হারায় তারা। প্রথমে ব্যাট করে চিটাগং ভাইকিংস নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৮০ রান করে।
১৮১ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কান ওপেনার দিলশান মুনাভীরার বিধ্বংসী ৬৪ রান শুরুতেই জয়ের দিকে এগিয়ে নেয় সিলেটকে। মাত্র ৩০ বলে ১৩টি চার ও এক ছয়ে ৬৪ রান করেন মুনাভীরা। এর মাঝে দিলশানের করা দ্বিতীয় ওভারে ছয়টি বলেই চার দিয়ে সাজিয়ে ২৪ রান তুলে নেয় মুনাভীরা।
মুনাভীরার আউটের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও তরুণ নুরুল হাসান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন মূল্যবান ৫৫ রান। নুরুল হাসান ২০ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ৩২ রান করে আউট হন। কিন্তু ক্যাপ্টেন কুল মুশফিকের ৫০ রানও জয় এনে দিতে পারেনি সিলেটকে।
ম্যাচের শেষের দিকে চিটাগংয়ের নিয়ন্ত্রিত বোলিং দলকে জেতায়। শেষ ওভারে সিলেটের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৯ রান। কিন্তু বোলার মোহাম্মদ আমিরের অসাধারণ বোলিংয়ে ৭ রান নিতে পারে সিলেট।
এরআগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৪ রানের মাথায় দিলশানের উইকেট তুলে সিলেটের ডান হাতি পেসার শুভাশিষ রয়। প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
দ্বিতীয় উইকেট জুটি তরুণ টপ অর্ডার ইয়াসির আলীকে নিয়ে মূল্যবান ৭৯ রান যোগ করেন তামিম। ৪৫ বলে ছয়টি চার আর চারটি ছয়ে সাজানো ঝকঝকে ৬৯ রান করে মেন্ডিসের বলে মোহাম্মদ শহীদের হাতে ধরা পড়েন তামিম। তামিমের আউটের পরপরই ফিরে যান এনামুল হক বিজয়।
এরপর দলের হাল ধরেন ইয়াসির আলী। তার ৫২ বলে চার ছয় আর এক চারে ৬৩ রানের ইনিংসে রানে ভর করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়ে দেয় চিটাগং ভাইকিংস।
সিলেটের পক্ষে মোহাম্মদ শহীদ, শুভাশিষ রয় একটি করে উইকেট নেয়।
এর আগে সিলেট দলের দুই ইংলিশ খেলোয়াড় রবি বোপারা ও জোসুয়া কুবের অনাপত্তি পত্র নিয়ে জটিলতায় কারণে খেলা প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্বের পর খেলা শুরু হয়।