২০১৪ সালের জুনে আমেরিকার ভার্জিনিয়াতে মঞ্চে এসেছিল একক অভিনয়ের এই মঞ্চ আখ্যান। ২০১৮ তে পঞ্চাশে পদার্পণ করছে মঞ্চনাটক ‘পঞ্চনারী আখ্যান’। মঞ্চস্থ হবে ঢাকায়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মহিলা সমিতিতে মঞ্চস্থ হবে নাটকটি। ঢাকা থিয়েটারের ৩৭ তম প্রযোজনাটির একক অভিনয় করেছেন রোজী সিদ্দিকী।
নারীর পরিচয় নারী নয় মানুষ হিসেবে তৈরী হোক এ ভাবনাকে কেন্দ্র করে আবর্তি হয়েছে হারুন রশীদের রচনায় এই মঞ্চ প্রযোজনা। বিত্তহীন, মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত-সকল শ্রেণী কাঠামোতে পেশাগত সব অবস্থানে নারী সহস্র বছর ধরে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় অন্যায়, বিভেদ আর বৈষম্যের শিকার হয়ে যাপন করছে মানবেতর জীবন। এ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেতে নিরন্তর সংগ্রামে লিপ্ত বিশ্বের নারী। বৈষম্যের হাহাকারকে অতিক্রম করে কবে তারা মানুষ হিসেবে নিজেকে অনুভব করতে পারবে এ আর্তনাদই ধ্বনিত হয়েছে ‘পঞ্চনারী আখ্যান’-এ।
শহীদুজ্জামান সেলিমের নির্দেশনায় নাটকটির মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন আফজাল হোসেন এবং সংগীত পরিকল্পনা করেছেন শিমুল ইউসুফ ও চন্দন চৌধুরী। ‘পঞ্চনারী আখ্যান’ এর আলোক পরিকল্পনা করেছেন ওয়াসিম আহমেদ।
পঞ্চাশতম মঞ্চায়ন প্রসঙ্গে রোজী সিদ্দিকী চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমি তখনও ভাবতাম কেন এত চাপ নিলাম। আমাকে দিয়ে হবেনা। বড় অন্যায় করলাম এত বড় লোড নিয়ে। সম্মান রাখতে পারবতো? এখনও তাই মনে হচ্ছে। কারণ পুরো দায়িত্ব একক হিসেবে নিজের। তবে শো শেষে সবার ভালোবাসা মনটাকে প্রশান্ত করে। আজকের মঞ্চায়নও ঠিকভাবে করতে পারবো আশা করি।
১ ঘন্টা ২০ মিনিটের নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শহীদুজ্জামান সেলিম। যিনি সম্পর্কে রোজী সিদ্দিকীর স্বামী। নির্দেশক হিসেবে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক কাজ করেছে নাকি কেবলই নির্দেশক ও অভিনেত্রী?’ এমন প্রশ্নে শহীদুজ্জামান সেলিম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘আমি নির্দেশক হিসেবে হার্ডলাইনার। রিহার্সেলে নির্দেশক এবং অভিনেত্রীর বাইরে কোন কিছু ভাবার সুযোগ আমি দেইনি।’
সম্পূরক প্রশ্ন হিসেবে, ‘কেমন করেছে আপনার অভিনেত্রী?’ এর উত্তরে তিনি বলেন, ‘মঞ্চ নাটকে নির্দেশক এবং শিল্পীর সমান ইনভল্বমেন্ট জরুরী। একক নাটকে শিল্পীর ওপর চাপ থাকে বেশি। অন্যদিকে এটি আমার মঞ্চে প্রথম কোন একক শিল্পী নির্ভর নাটকের নির্দেশনা। আমার ওপরেও চাপ ছিল। শুধু এটুকু বলব শিল্পী হিসেবে সে চেষ্টা করেছে। ভীষণ খেঁটেছে, যেভাবে বলেছি সেভাবে অভিনয়টা দিয়েছে।’