করোনা মহামারী কাটিয়ে উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানে আবারও অংশ নিয়েছে লাখ লাখ মুসল্লি।
বৃহত্তম এই ঈদ জামাতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা করোনা থেকে মুক্তি, দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করেছেন। বৃহত্তম এই জামাত শোলাকিয়া থেকে সরাসরি সম্প্রচার করেছে শুধু চ্যানেল আই।
দু’শ’ বছরের ইতিহাসে করোনা মহামারির কারণে গত ২ বছর বন্ধ ছিল ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠের ঈদ জামাত। করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় অনুষ্ঠিত এবারের ঈদ জামাতকে ঘিরে মুসল্লীদের আগ্রহ ছিলো বেশি। সকাল থেকেই মুসল্লিদের গন্তব্য কিশোরগঞ্জ শহরের পূর্ব প্রান্তের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠের দিকে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূর-দূরান্ত থেকে আসা টুপি পাঞ্জাবী পরা পায়ে হাঁটা মুসল্লিদের ভিড় এই বিশাল মাঠে এসে পরিণত হয় জনসমুদ্রে। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জামাতে অংশ নিতে মাস্ক পড়ে আসেন অনেকেই।
নিরাপত্তা তল্লাশী ছাড়া এবারও কাউকেই মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। অন্য যেকোন বারের তুলনায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
দেশ বিদেশের দর্শকদের জন্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয় চ্যানেল আইতে। মাঠ ছাড়িয়ে আশেপাশের রাস্তা, ফাঁকা জায়গা, বাড়ি, বাড়ির ছাদে মুসল্লিরা দাঁড়িয়ে পড়েন নামাজে।
বেলা ১০ টার পর পরই ঐতিহাসিক এই জামাতের ইমাম আহবান জানান, শোলাকিয়ার ১৯৫তম ঈদুল ফিতরের জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য। শুরু হয় ঐতিহাসিক শোলাকিয়ায় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত।
শতবছর আগে সোয়া লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়ের কারণে ঐতিহাসিক এই মাঠের নাম হয় সোয়ালাখিয়া। কালের বিবর্তনে এখন তা শোলাকিয়া মাঠ। নামাজ শেষে মুসল্লিদের জন্য দিক নির্দেশনামুলক খুতবা। এরপর কাঙ্ক্ষিত মোনাজাত।
লাখ লাখ মানুষ অংশ নেন মোনাজাতে। পাপ আর করোনা থেকে মুক্তি এবং পরম করুাণাময়ের অপার সন্তুষ্টি অর্জনে দু’হাত তুলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে।