অন্তত একবছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের সিংহাসনে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন থাই প্রিন্স মাহা ওয়াজিরালংকর্ন। একবছর ব্যাপী রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদের মৃত্যুশোক পালনের পরই নিজের অভিষেক চান তিনি।
রাজা ভূমিবলের পুত্রের অভিষেক নিয়ে থাই নাগরিকদের দুশ্চিন্তা না করার আহ্বান জানিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রাউথ চান-ওচা।
কোনোরকম দ্বিধা কিংবা দুশ্চিন্তা না করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ৬৪ বছর বয়সী ওয়াজিরালংকর্ন বলেন,‘ বর্তমানে শোকের সময় চলছে। সবাই শোকাহত। এই শোকের সময় পার করার জন্য অপেক্ষা করতে হবে’।
থাই রাজার এই উত্তরসূরির যোগ্যতা নিয়ে আগে থেকেই নানামহলে প্রশ্ন রয়েছে। তবে থাই আইনে এই বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।
২০১৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল প্রাউথ। এখন তিনি থাই প্রধানমন্ত্রী। তবে রাজা ভূমিবলের পুত্র ওয়াজিরালংকর্ন থাইল্যান্ডের রাজা হচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছে সামরিক সরকার। কারণ প্রথাগতভাবে সবসময়ই রাজপরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাসী থাই সামরিক বাহিনী।
১৩ অক্টোবর পরলোকগমন করেন থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল । রাজধানী ব্যাংককে সিরিরাজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এরফলে অবসান ঘটে তাঁর ৭০ বছরের রাজত্বের। রাজা ভূমিবলের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। এ কারণে জনসম্মুখে তাঁকে খুব একটা দেখা যেত না।
তিনি ছিলেন বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী রাজা। ২৩৪ বছর বয়সী চক্রি রাজবংশের তিনি ছিলেন নবম রাজা। ১৯৪৬ সালে তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সংগীতজ্ঞ, চিত্রকর ও নাবিক ছিলেন।