চা-বিরতির আগে শ্রীলঙ্কার সাজঘরে ছিল ক্ল্যাসিক সুর। কিন্তু চা-বিরতি শেষ হতে না হতেই সেখানে এখন বিষাদ আর হতাশা। ২০ বলের ব্যবধানে ম্যাচের পাল্লা এখন ইংল্যান্ডের দিকে। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের প্রতিরোধ ভেঙে জয় থেকে মাত্র তিনধাপ দূরে ইংলিশরা। শেষ দিনে তাদের নিতে হবে ৩ উইকেট।
চা-বিরতির আগে পাল্লেকেলে টেস্ট জিততে ৫ উইকেট হাতে লঙ্কানদের দরকার ছিল ৮২ রান। ক্রিজে ছিলেন ৮৮ রানে অপরাজিত ম্যাথুজ। তিনি আবার ব্যাট করছিলেন নিজের পুরনো চেহরায়। কিন্তু বিরতির পর নেমেই মঈন আলির এক ঘূর্ণিতে দিশেহারা তিনি, সেই সঙ্গে শ্রীলঙ্কাও। পরে আরও একটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫ রান যোগ করতে পারে স্বাগতিকরা।
টেস্টের চতুর্থদিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ২২৬ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। রোববার পুরো দিনে তাদের করতে হবে আরও ৭৫ রান। হাতে রয়েছে ৩ উইকেট। তবে পিচের যে চরিত্র তাতে লঙ্কানদের ৭৫ রানের চেয়ে ইংলিশদের ৩ উইকেটের দূরত্বটা অনেক কমই মনে হচ্ছে।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ২৯০ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয় ৩৩৬ রানে। ৪৬ রানের পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৪৬ রানে অলআউট হয়।
৭ উইকেটে ২২৬ রান নিয়ে পঞ্চম তথা শেষ দিন শুরু করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। জয়ের জন্য ২৭ রানে অপরাজিত থাকা নিরোশান ডিকভেলার দিকেই তাকিয়ে থাকবে তারা। ২ রানে তার সঙ্গী দিলরুয়ান পেরেরা। আর ৪ উইকেট নেওয়া লিচের দিকে তাকিয়ে থাকবে সফরকারীরা।
ইংল্যান্ডের শুক্রবারের স্কোরের সঙ্গে আরও ২২ রান যোগ যোগ হয় শনিবার। ফলে ৩৪৬ রানে শেষ হওয়ার ইংলিশরা লিড পায় ঠিক ৩০০ রানে। রান তাড়া করতে নেমে বাজে হয় শ্রীলঙ্কার। মাত্র ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন ম্যাথুজ। তাকে সঙ্গী পেয়ে দিমুথ করুণারত্নেও বেশ ভালো ব্যাট করতে থাকেন। কিন্তু দলকে ১০০ পার করেই বিদায় নেন করুণারত্নে (৫৭)। আদিল রশিদের বলে কিটন জেনিংসের দারুণ এক ক্যাচে ফেরেন তিনি।
৭৭ রানের চতুর্থ উইকেট জুটির পর রোশেন সিলভার (৩৭) সঙ্গেও ৭৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি গড়েন ম্যাথুস। সিলভা আলির বলে আউট হওয়ার পর ডিকভেলার সঙ্গে দ্রুত ৪৫ রান জয়ের আশাও জাগিয়ে তুলেছিলেন ম্যাথুজ। কিন্তু বৃষ্টি শুরুর আগে ইংল্যান্ড বোলারদের ছোট এক ঝড়েই সব এলোমেলো করে দিয়েছে স্বাগতিকদের।