চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ১৫৯ রান তাড়ায় ডেভিড মালান খেললেন ৫১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন মুজিব উর রহমান। অথচ কুমিল্লার জয়ের নায়ক ৮ বলে ১২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা আবু হায়দার রনি!
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় মালান হলেও শেষ ওভারে ১৬ রানের কঠিন সমীকরণকে সম্ভব করার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে আবু হায়দারের ব্যাট। বোলার হয়েও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠা এ ক্রিকেটার ম্যাচ শেষে জানালেন শেষ ওভারের রোমাঞ্চের কথা।
‘শেষ ওভারটা খুব বেশি এক্সসাইটিং ছিল। যেহেতু আমরা জিতেছি আরও বেশি রোমাঞ্চকর সেটি। শেষ ওভারে আমার পরিকল্পনা ছিল মালানকে কীভাবে স্ট্রাইক দেওয়া যায়। শেষ ওভারে যখন খেলা চলে এসেছে এো দেওয়ার অবস্থা ছিল না। কারণ রান ছিল ১৬। আমিও চেষ্টা করেছি মেরে রান নেওয়ার।’
লিয়াম প্লানকেটের প্রথম বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মালান। স্ট্রাইক পেয়ে আবু হায়দার দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে চার-ছক্কা মেরে সহজ করে দেন হিসেবটা। ৩ বলে তখন ৫ রান দরকার কুমিল্লার। বাই থেকে ১ রান নিয়ে মালানকে স্ট্রাইক দেন আবু হায়দার। নাগালে চলে আসে লক্ষ্য।
কিন্তু পঞ্চম বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মালান। তাতে শেষ বলে সমীকরণ দাঁড়ায় ৩ রানের। ব্যাটিংয়ে তখন নতুন ব্যাটসম্যান মুজিব। প্লানকেটের ফুলটসে এ আফগান মিড উইকেট দিয়ে চার মারলে জয়ের উদযাপনে মাতে কুমিল্লা।
নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচটি জিতে শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে কুমিল্লা। চট্টগ্রামের হারে পয়েন্ট টেবিলেও চলে এসেছে ভারসাম্য।