চট্টগ্রাম থেকে: প্রথম পাঁচ ওভারে রান ছিল বিনা উইকেটে ৪২। সেখান থেকে পথ হারিয়ে ১২ ওভারে ৪ উইকেটে ৮৬। মাঝের এই চিত্র আবার শেষ ওভারে বদলে দেন অধিনায়ক ড্যারেন সামি। প্রথম তিন ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নেয়া সাইফের এই ওভার থেকে ৩২ রান তুলে নেন! রাজশাহী থামে ৭ উইকেটে ১৮৫ রানে। শেষ পাঁচ ওভার থেকে দলটি রান তোলে ৭২। সামি ৪৭ করেন মাত্র ১৪টি বল থেকে।
এর আগে ভাল শুরু এনে দেন মুমিনুল হক আর ডোয়াইন স্মিথ। দিনকে দিন বড় শট খেলায় মন দিতে থাকা মুমিনুলকে অনুশীলনের মতো ম্যাচেও বার কয়েক ‘ডাউন দ্য ট্রাকে’ উঠতে দেখা গেছে। রানআউট হওয়ার আগে পাঁচটি চারের সাহায্যে ১৬ বলে ২৩ করেন। আরেক ওপেনার স্মিথও চালিয়ে খেলছিলেন। ১৯ রানের ভেতর চারটি চার হাঁকান। মুমিনুলের আগে দলীয় ৪৩ রানের মাথায় মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বোল্ড করেন তাকে।
৪৭ রানের ভেতর দুই উইকেট চলে যাওয়ার পর রানের গতি ঠিক রাখতে পারেননি রাজশাহীর পরবর্তী ব্যাটসম্যানরা। ঢাকা পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৫৫ করা মুশফিকুর রহিম এদিন সাত বলে আট রান করে সাইফের বলে ইমরুলের হাতে ধরা পড়েন। বিপিএলে এই মৌসুমে প্রথম খেলতে নেমেই অর্ধশতক হাঁকানো জাকির হাসান নিজের চতুর্থ ম্যাচে ১৫ বলে ২০ করে বিদায় নেন।
লুক রাইট ৪২ করলেও বল খেলেন ৩৬টি। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে সাইফকে স্কুপ করতে যেয়ে শর্টফাইন লেগে হাসান আলীর হাতে ধরা পড়েন।
কুমিল্লার আল-আমিন ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে এক উইকেট নেন। হাসান আলী ২ উইকেট নিতে ৩৮ রান খরচ করেন। নিজের প্রথম তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নেয়া সাইফ চার ওভার শেষে রান দেন ৫০। রশিদ খান ২৬ রান দিয়ে উইকেটহীন।