পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হাতে রেখেই পৌছে যায়। মাত্র ৩৮ ওভার ১ বল খেলেই জয়ের বন্দরে পৌছায় টাইগাররা। আর এ ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তামিম ও সাকিব।
তামিম ইকবাল ১১৬ বলে ১১৬ রান করে অপরাজিত থেকে এই জয়ে নেতৃত্ব দেন। আর তামিমের যোগ্য সঙ্গি হিসেবে মুশফিকুর রহিম ৭০ বলে ৬৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তবে জয় থেকে সামান্য দুরে থাকতে দলীয় ২১৮ রানের মাথায় ফিরে যান তিনি।
এর আগে মিরপুর স্টেডিয়ামে যেনো ঝড় বইয়ে দেন তামিম-মুশফিকরা। আর সেই ঝড়ে বিপযর্স্ত হয় পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ। একের পর এক সীমানার বাইরে পাঠানো বলে গ্যালারীও ফুঁসে উঠেছে মুহুমুহু গজর্নে। দর্শকেরা একটু জিরিয়ে নেয়ারও সুযোগ পায়নি। বারবার চোখধাঁধানো সব শট তাদের আলোড়িত করেছে।
এর আগে সাইদ আজেমলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মাহমুদুল্লাহ। প্রথম ম্যাচের বিফলতার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে এই সিরিজে নিজের প্রথম শিকার পেতে সক্ষম হন পাকিস্তানের স্পিন বোলিংয়ের সেরা তারকা সাইদ আজমল। তার বিদায়ে মাঠে নামেন টাইগারদের রান মেশিন হয়ে উঠা মুশফিকুর রহিম।
২৮ বল খেলে ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায় ফিরে যান গত বিশ্বকাপে টানা দুই ম্যাচ সেঞ্চুরি হাঁকানো মাহমুদুল্লাহ। তবে তার ফিরে যাওয়ার আগেই তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে দলীয় শতক রানে পৌছায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আজও উদ্বোধন করতে নামা তামিম ইকবাল আগ্রাসি ভাবে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে নাজেহাল করেন। ওয়াহাব রিয়াজকে সীমানা ছাড়া করা নান্দনিক চারের মারে তিনি অর্ধশতক পূরণ করেন। দশর্কদের বিমল আনন্দে ভাসানো তামিম আজও পাকিস্তানের বোলারদের জন্য দুঃস্বপ্নের উপহার।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ২০ রান করেই দুভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার হওয়া সৌম্য সরকার আজও নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেন না। ব্যক্তিগত ১৭ রানের মাথায় জুনায়েদ খানের বলে সরফরাজ আহমেদের ক্যাচ হয়ে ফিরে যান তিনি।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের ছুড়ে দেয়া ২৪০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের পক্ষে উদ্বোধণী জুটিতে তামিম ইকবালের সাথে নামা সৌম্য সরকার অতিদ্রুতই ফিরে যান।
দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংসের সফলতম বোলার সাকিব আল হাসান ২ টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়াও অধিনায়ক মাশরাফি, আরাফাত সানি, রুবেল হোসেন, নাসির হোসেন ১ টি করে উইকেট শিকার করেন। তবে গত ম্যাচে দূদার্ন্ত বোলিং করে বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংস সেরা ৩ উইকেট শিকারী তাসকিন আহমেদ আজ ৮ ওভার বোলিং করে উইকেট শুন্য থাকেন।
বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, আরাফাত সানি, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন।
পাকিস্তান একাদশ : আজহার আলী, সরফরাজ আহমেদ, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল,মোহাম্মদ রিজওয়ান,ফাওয়াদ আলম, সাদ নাসিম, ওয়াহাব রিয়াজ, জুনায়েদ খান, সাইদ আজমল, রাহাত আলী।