শেরপুরে আমন মৌসুমে এবার নেরিকা মিউট্যান্ট জাতের ধান আবাদ করেছেন কৃষক। এর ফলে কৃষক একশ দিনের মধ্যেই ফসল ঘরে তুরেছে।
নেরিকা মিউট্যান্ট জাতের ধান আউশ, আমন আর বোরো এই তিন মৌসুমেই আবাদ করা যায়।
এ জাতের ধান ভালো আবাদের কারনে শেরপুরের কৃষক বলেন, আমি নেরিকা জাতের ধান আবাদ করেছি। এর ফলন ভাল এটা আমাদের এলাকার জন্য ভালো।
কৃষক নিজেই এ ধানের বীজ সংরক্ষন করতে পারেন। মাত্র একশ দিনে ঘরে তোলা যায় বলে দুটি ফসলের মাঝামাঝি সময়ে সবজি রবি শস্য কিংবা অন্য আর একটি ফসল আবাদ করা সম্ভব। সব মিলে আউশ আমন বোরো এই তিন মৌসুমেই আবাদ করা যায় বলে এটা আমাদের খাদ্য নিরাপত্তায় বিশেষ ভুমিকা পালন করা যায়।
অন্য এক কৃষক জানান, অনান্য লোকাল ধানের জাতের চেয়ে এর ফলন অনেক বেশি।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিষ্টিটিউডের বিঞ্জানীরা নেরিকা মিউট্যান্ট জাতের ধানটি নিয়ে মাঠ পর্যায়ে ভালো ফলাফল পাওয়ায় নিজস্ব জাতের ধান হিসেবে অনুমোদনের চিন্তা ভাবনা করছেন।
শেরপুরের নকলার খিচা ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুলতান উদ্দিন বলেন, নেরিকা মিউট্যান্ট জাতের ধানের আবাদ কৃষকের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। এ জন্য আমরা এটাকে অনান্য উপজেলায় সম্প্রসারণের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।
২০০৯ সালে আফ্রিকার রুয়ান্ডা থেকে নেরিকা জাতের ধান এনে বাংলাদেশে চাষ শুরু করে।