২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই) আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ সম্মাননায় ভূষিত করে। বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির ব্যাপক সাফল্য, বিশেষ করে বেশ কয়েকটি মরণব্যাধি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখায় প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মাননা জানায় বৈশ্বিক এ সংস্থাটি। সারাবিশ্বে কোটি কোটি শিশুর জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখা সংস্থাটির এই সম্মাননা ও অনুষ্ঠানে দেওয়া প্রংশসাপত্রের প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা তার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেছিলেন, এ পুরস্কার আমার না। এটা বাংলাদেশের জনগণকে আমি উৎসর্গ করলাম।
বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) দেশবিদেশে ব্যাপক আলোচিত ও প্রশংসিত বিষয়। শূন্য থেকে ১৫ মাস বয়সী সব শিশু, ১৫ বছর বয়সী কিশোরী এবং ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী সন্তান ধারণক্ষম নারী এই টিকাদান কর্মসূচির আওতায় রয়েছেন। ব্যাপক এই কর্মযজ্ঞে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতাও বিশাল। এই অভিজ্ঞতা একদিকে যেমন নারী-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করছে, অন্যদিকে প্রশংসা কুড়াচ্ছে বিশ্বপরিমণ্ডলে। এটা অর্জন হিসেবে বিশাল বলতেই হয়। কেবল দেশের নারী-শিশুদেরই স্বাস্থ্য সুরক্ষাই দিচ্ছে না বাংলাদেশ, এখানে আশ্রিত মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদেরও টিকার আওতায় এনেছে। মানবিক এই দিক এক সফল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।
টিকাদান বিশাল কর্মযজ্ঞ, এজন্যে দরকার প্রাতিষ্ঠানিক ও সুশৃঙ্খল কাঠামো, দক্ষ জনবল সেগুলো রয়েছে বাংলাদেশে। ফলে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি বাংলাদেশের এক সফল বিস্ময়। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় সারাদেশে করোনাকালের করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। ২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার পর্যন্ত সারাদেশে ২০ লাখ ৮২ হাজার ৮৭৭ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। গণটিকা কার্যক্রম শুরুর মাত্র দুই সপ্তাহে এই সংখ্যা নিঃসন্দেহে আশাব্যঞ্জক। এর সঙ্গে আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে সর্বশেষ চারদিন গড়ে সোয়া দুই লাখের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে দৈনিক তিন লক্ষের বেশি লোককে টিকাদানের সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশের।
করোনার টিকাদানের এই হার সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে উজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে গেছে। স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক অব্যবস্থাপনার বিপরীতে টিকাদান কার্যক্রমের এই সাফল্য আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা ও সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ব্যবস্থাপনা দক্ষতার স্মারক হয়ে রয়েছে। বিশ্বে অনেক উন্নত দেশের তুলনায় বাংলাদেশের এই অবস্থান আমাদেরকে গর্বিত করে। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের উপরে আছে কেবল ভারতই। ভারত বাংলাদেশের আগে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে এবং বিশাল দেশটির বিশাল অবকাঠামোর কারণে তারা স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে আছে। এছাড়া এই অঞ্চলের আর কোনো দেশই আমাদের ধারে কাছে নেই। সোয়াশ কোটির বেশি জনসংখ্যার বিশাল ভারতে দৈনিক টিকাদান যেখানে দৈনিক আড়াই লাখের কিছু বেশি সেখানে ভারতের চাইতে অন্তত ছয় ভাগের এক ভাগ জনসংখ্যার বাংলাদেশে টিকাদান সর্বশেষ চারদিনে সোয়া দুই লক্ষের বেশি করে। জনসংখ্যার সঙ্গে টিকাদানের অনুপাত হিসাব করলে এখানে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখতে হবে।
ব্যবস্থাপনাগত এই দক্ষতার বাইরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত টিকা সংগ্রহেও এগিয়ে আছে। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ভাষ্যে জানা যায়, বিশ্বের অন্তত ১৩০টি দেশ এক ডোজও টিকা পায়নি। এটাকে মারাত্মক ‘অন্যায্য’ ও ‘অন্যায়’ বলে মন্তব্য করে বুধবার নিরাপত্তা পরিষদের উচ্চ-পর্যায়ের এক বৈঠকে তিনি বলেছেন, বিশ্বে করোনাভাইরাসের যে পরিমাণ টিকা পাওয়া যাচ্ছে তার ৭৫ শতাংশ মাত্র ১০টি দেশ ব্যবহার করছে। এদিকে, ওয়ান ক্যাম্পেইন নামের এক সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে বিশ্বের ধনী দেশগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত শত কোটি ডোজ ভ্যাকসিন মজুদ করতে যাচ্ছে। এতে করে করোনাভাইরাস মহামারি ঠেকাতে দরিদ্র দেশগুলো ভ্যাকসিন পেতে জটিলতায় পড়তে পারে। এমনটা চলতে থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া থেকে বিশ্বের কয়েক কোটি মানুষকে সুরক্ষা দিতে কার্যত অস্বীকৃতি জানানো হবে এবং এই মহামারি দীর্ঘায়িত হবে। সংস্থাটির দেওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও জাপান এরই মধ্যে ৩০০ কোটির বেশি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করেছে। অথচ এসব দেশের জনগণের জন্য দুটি ডোজ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন ছিল ২০৬ কোটি ভ্যাকসিন। ফলে এসব দেশ প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ১০০ কোটি বেশি ডোজ কিনছে।
ভ্যাকসিনের এমন বিশ্ব পরিস্থিতিতে উন্নত দেশ না হলেও বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। করোনা মহামারি শুরুর দিকে ভ্যাকসিন আবিস্কারের আগেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ভ্যাকসিনপ্রাপ্তির প্রাথমিক কার্যাদি সম্পন্ন করে ফেলেছিল। অগ্রিম টাকা প্রদানের মত সুদূরপ্রসারী উদ্যোগও নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর পরই বাংলাদেশ পেয়ে গেছে ভ্যাকসিন। ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ড-অস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবিত ও ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের উৎপাদিত সত্তর লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে আছে ভারতের দেওয়া বিশ লক্ষ ডোজ উপহার আর টাকায় কেনা আরও পঞ্চাশ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন। আশা করা যাচ্ছে এই ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আসছে আরও অন্তত ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন। ভ্যাকসিন নিয়ে বৈশ্বিক কাড়াকাড়ির এই সময়ে এটা শেখ হাসিনার এটা দারুণ এক জনকল্যাণকামী উদ্যোগ ও সাফল্য।
ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছার পর থেকেই শুরু হয়েছিল এটা নিয়ে অপপ্রচার। প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীদের আগে ভ্যাকসিন গ্রহণ করে এটা নিয়ে সন্দেহ দূর করার রাজনৈতিক দাবি তুলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু ওইসব সমালোচনাকে তোয়াক্কা না করে শেখ হাসিনা নিজের কাজ করে গেছেন। এতে করে লাভবান হয়েছে দেশই। যে বা যারাই ভ্যাকসিন নিয়ে অপপ্রচার করেছিলেন, সরকারের আমদানি করা ভ্যাকসিন গ্রহণ করা ঠিক হবে না বলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিলেন সে তাদেরকেও দেখা গেছে সরকারি নিয়মে নিবন্ধন করে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে। তাদের মুখের ভাষাও বদলে গেছে যথারীতি। গত ২৭ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময়ে বলেছিলেন দেশের সকলকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পর তিনি সেটা গ্রহণ করবেন। ভ্যাকসিন আগে পাবে জনগণ, পরে প্রধানমন্ত্রী! তার এই বক্তব্যকেও অনেকেই বিকৃতভাবে প্রচার করেছে ঠিক কিন্তু ওসব অপপ্রচার ও বিকৃতিকে তোয়াক্কা করেননি শেখ হাসিনা।
ভ্যাকসিন প্রাপ্তির যে অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করেছিল সরকার সেখানে শুরুতে অন্য অনেক ক্যাটাগরির সঙ্গে ৫৫ বা তদূর্ধ্ব বয়সের নাগরিকের জন্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। সেখানে করোনাকালে দায়িত্বে থাকা সম্মুখসারির পেশাজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর বয়সের এই কোটা নামিয়ে আনা হয় চল্লিশে। চল্লিশে আসার আগে থেকেই গণমাধ্যমকর্মীদের ক্যাটাগরি থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে আমি সম্মুখসারির বা মাঠে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মী না হওয়ায় শুরুতে নিবন্ধনের চেষ্টা করিনি। কারণ আমি চেয়েছিলাম যারাই মাঠে মাজ করে তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন গ্রহণ করুক। এরপর বয়সের কোটা চল্লিশে নামার পর পরই ভ্যাকসিনের জন্যে নিবন্ধন করি এবং নিবন্ধনের দু’দিনের মাথায় ভ্যাকসিন গ্রহণও করি।
করোনাকালের উদ্বেগের সময়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর নাগরিকদের সঙ্গে এবং অনেকের আগে এভাবে ভ্যাকসিন পেয়ে যাব শুরুতে ভাবিনি। আমাদের ভাবনায় ছিল বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর নাগরিকেরা ভ্যাকসিন পেয়ে যাওয়ার পর একটা সময়ে হয়ত আমরা এই ভ্যাকসিন পাব। তবে এই সময়টা করোনা মহামারি থাকাকালে এবং ২০২১ সালেই যে হবে সেটা ভাবিনি কখনই। ভ্যাকসিন গ্রহণের পর প্রাথমিক অথচ অন্তস্থ প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার প্রতি এক অদ্ভুত কৃতজ্ঞতায় মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। কেবল শেখ হাসিনার কারণেই এই ভ্যাকসিন পেয়েছি বলে তখন মনে হয়েছিল। আমার সঙ্গে থাকা বন্ধুদের সঙ্গে এনিয়ে তাৎক্ষণিক আলোচনায় বলেছি-‘ভ্যাকসিন হিরো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই এই ভ্যাকসিন নিতে পারলাম। শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে এজন্যে আমাদের কাউকে আওয়ামী লীগ হতে হচ্ছে না।’ আমার বন্ধু রাশেদ-নিজাম-রোমান-রেকনেরা এই প্রতিক্রিয়ায় দ্বিমত পোষণ করেনি; তাদের বক্তব্যও ছিল একই।
দেশে গণটিকা কার্যক্রমের চতুর্থ দিনে আমি নিজে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছি। আমার একাধিক বন্ধুও গ্রহণ করেছে। আমার পরিবারের উপযুক্ত সদস্যদের প্রায় সবাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। আমার গ্রামের মানুষদের ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছি, উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছি। আমার পরিচিতজনদের অনেকেই একই কাজ করছেন। সরকারি প্রচার-প্রচারণার বাইরে মানুষদের উদ্বুদ্ধ করার এই উদ্যোগে বড় পরিসরে শামিল হয়েছেন আমাদের বন্ধু সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. এনামুল হক এনাম। তিনি নিজে পরিবারসহ ভ্যাকসিন গ্রহণের পাশাপাশি তার গ্রামের এলাকায় এ নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে তিনি মসজিদে ভ্যাকসিনের উপকারিতা, কেন আমাদের সকলের এই ভ্যাকসিন গ্রহণ দরকার সেসব নিয়ে আলোচনা করেছেন। তার প্রতিষ্ঠানের নামে লিফলেট প্রকাশ করেছেন, বিলি করছেন এবং হাটবাজারে প্রোজেক্টরের মাধ্যমে ভ্যাকসিন নিবন্ধন কার্যক্রমের দিকগুলোসহ ভ্যাকসিনের ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
গণটিকা কার্যক্রম শুরুর দুই সপ্তাহের কম সময়ে সারাদেশে ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন ২০ লাখের বেশি লোক, নিবন্ধন ত্রিশ লাখেরও বেশি। সরকারের সুরক্ষা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় ১৫ হাজারের মত মানুষ নিবন্ধন করছেন বলে জানা যাচ্ছে। মানুষ লাইন ধরে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্যাকসিন গ্রহণের ছবি প্রকাশের মাধ্যমে ভ্যাকসিন-উৎসবে শামিল হওয়ার প্রমাণ দিচ্ছেন। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ আর মানুষের এই অংশগ্রহণে একটা উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে দেশে। উন্নত দেশ না হলেও অনেক উন্নত দেশের আগে ভ্যাকসিন প্রাপ্তির যে মহাসুযোগ হয়েছে আমাদের তাকে স্মরণীয় করে রাখছেন সচেতন জনগোষ্ঠী। পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাচ্ছেন শেখ হাসিনাকেও।
শেখ হাসিনাকে ‘ভ্যাকসিন হিরো’ বলে আগেই স্বীকৃতি দিয়েছে বৈশ্বিক সংস্থা। তার সেই স্বীকৃতি ছিল কেবল দেশের নারী-শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, করোনাকালিন ভ্যাকসিন নিয়ে কাড়াকাড়ির বিশ্বে তার দূরদর্শী সিদ্ধান্তে আমরা উন্নত দেশের সুবিধাই ভোগ করছি। তাকে তাই ধন্যবাদ, ভ্যাকসিন গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্যে তার প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)