আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন: বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিজেকে কোন সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি করেননি।
তিনি বলেন: এদেশের রাজনীতিতে গত ৫০ বছরে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সততার প্রতীক। অপকর্মকারী কেউ শেখ হাসিনার মানুষ হতে পারে না। তার কাছে কারও প্রশ্রয় নেই।
শুক্রবার বিকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিং করেন।
এসময় সেতুমন্ত্রী বলেন: বিএনপি দেশ ও জাতির কল্যাণ ভুলে নানা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের পথকেই রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছে, তারা একদিকে অপপ্রচারে বিনিয়োগ করেছে অপরদিকে ধোয়া তুলসি পাতা সেজে ব্যাখ্যা দাবী করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন: বিএনপি কোটি টাকা ব্যয় করে লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। বিএনপিকে অপরাজনীতি পরিহার করে জনগণের জন্য রাজনীতি করতে হবে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন: নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই, তাই ষড়যন্ত্রের পথ ত্যাগ করে জণকল্যানের রাজনীতি করুন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন: আল জাজিরার মিথ্যা অপপ্রচারে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না, জনগণ অপপ্রচারের বিপরীতে শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল ভোগ করছেন। অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকার স্পষ্ট ও কঠোর অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি তাদের সহযোগীদের নিয়ে বিদেশের মাটিতে বসে এখন আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করছে।
ওবায়াদুল কাদের বলেন: নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যে কোনো অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।
তিনি বলেন: দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি বা ইস্যু নেই যে বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে। যে কোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়, কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে নিয়ে শক্ত হাতে তা দমন করা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সব শাখা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সমাবেশ, জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করবে। এ বিষয়ে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা নিজ নিজ বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করবেন।