মিয়ানমারে জাতিগত নিধন বন্ধ এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়াসহ সংকট সমাধানে বিশ্বনেতাদের পাঁচদফা প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২ তম অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসের মতো বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবেলায় সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চতুর্থদশ বারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের সামনে বাংলায় বক্তৃতা করলেন।
বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ নেত্রী কি বক্তব্য দেন সেদিকেও বিশ্বনেতাদের আগ্রহের কমতি ছিলো না। শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী আবেগঘন কণ্ঠে স্মরণ করেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দুঃখ-কষ্টের কথা, যে উদ্বাস্তু জীবনকে তিনি মিলিয়েছেন নিজের জীবনের সঙ্গে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বন্ধের উদ্যোগ নেয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের রাষ্ট্র ও জাতিসংঘকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধানে ৫ দফা প্রস্তাব বাংলাদেশ নেত্রীর।
একই সঙ্গে নিজ দেশে সন্ত্রাসবাদকে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ উন্নয়নের জন্য বড় অন্তরায়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রায় ১৫ মিনিটের বক্তৃতার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়নের রূপরেখা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র দূরিকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচিসহ দেশ যে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাই উঠে আসে।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ তহবিলে ১ লাখ মার্কিন ডলার প্রতীকী অনুদানেরও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: