আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৪ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ রোববার। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
দিনটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন। রোববার ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। গণভবনে সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এছাড়া রোববার বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশের আয়োজন করেছে ছাত্রলীগ।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের আগে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে নিহত হন। এ সময় তাঁর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা প্রবাসে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রেহাই পান। ১৫ আগস্টের পর আসা সামরিক সরকারগুলোর কারণে দীর্ঘ ৬ বছর হাসিনাকে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়।
এই পরিস্থিতিতে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। একই বছরের ১৭ মে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ৭৩৭ বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেন।
ঢাকায় ফিরে তৎকালীন কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানানোর জন্য উপস্থিত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সামনে আবেগজড়িত কণ্ঠে শেখ হাসিনা বলেন, ‘লাখো লাখো চেনামুখ আমি দেখছি। শুধু নেই আমার প্রিয় পিতা বঙ্গবন্ধু, মা আর ভাইয়েরা এবং আরো অনেক প্রিয়জন’।
ওইদিন মানিক মিয়া এভিনিউয়ের সমাবেশে হাসিনা সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতিরজনকের হত্যার বিচারে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই”।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে পরদিন ১৯৮১ সালের ১৮ মে দৈনিক ‘সংবাদ’ ‘লাখো জনতা অকৃপণ প্রাণঢালা অভ্যর্থনার মধ্যদিয়ে বরণ করে নেয় তাদের নেত্রীকে’ শিরোনামে লিখেছিল- রাজধানী ঢাকা গতকাল (১৭ মে) মিছিলের শহরে পরিণত হয়েছিল। প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টিও মিছিলের গতিরোধ করতে পারেনি। স্লোগানে ভাটা পড়েনি। লাখো কণ্ঠের স্লোগান নগরীকে প্রকম্পিত করেছে।