জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের ৬৭তম জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক-ক্রীড়া সংগঠন। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, ’৭১ এবং ’৭৫ এর ঘাতকরাই বাংলাদেশে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ঘরে জন্ম নেন তাদের বড় ছেলে শেখ কামাল।
ছোট বেলা থেকেই খেলাধুূলার প্রতি প্রচণ্ড আগ্রহ ছিলো তার। তিনি ছায়ানটের সেতার বাদন বিভাগেরও ছাত্র ছিলেন। আবাহনী ক্রীড়াচক্র, ঢাকা থিয়েটার এবং স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে ’৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন শেখ কামাল।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এমএজি ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ কামাল।
যে আগস্টে শেখ কামালের জন্মদিন, ১৯৭৫ এর সে আগস্টের ১৫ তারিখ কাল কিছু উচ্ছৃংখল সেনা সদস্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। সেদিন হত্যাকারীদের বাধা দিতে গেলে সবার আগে ঘাতকরা ২৬ বছর বয়সী শেখ কামালকে হত্যা করে।
শেখ কামালের জন্মদিনে তার গড়া আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সংগঠন।
এরপর বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত শেখ কামালের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ। এরপর একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী ও সমমনা সংগঠন।
শেখ কামালের জন্মদিনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কারো সঙ্গে কোনো ইস্যুতেই ঐক্য নয় আবারো জানিয়ে দেন আওয়ামী নেতারা।
শেখ কামালের জন্মদিনে দোয়া, মিলাদ, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন সংগঠন।